নাকের পলিপাস অপারেশন করাতে গিয়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু, এলাকায় শোকের মাতম



বাবুল আক্তার-

কারণে উৎস ভট্টাচার্য্যকে কয়েক বছরে আগে ডাক্তার দেখিয়ে ধরা পড়ে নাকের পলিপাস। বয়স ১৭ বছর পূর্ণ না হওয়ায় চিকিৎসা হিসেবে সে থেকেই চলছিল শুধু নাকের ড্রাপ। বৃহস্পতিবার বিকালে ভর্তি হয়েছিল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসস্টান্ড সংলগ্ন ফাতেমা হাসপাতাল এন্ড ইকো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর ভোর রাতে নাকের পলিপাস অস্ত্র পাচার করেন ডাক্তার কাজী রাজিবুল ইসলাম। অস্ত্রপাচারের পর উৎস ভট্টাচার্জ্য আর জ্ঞ্যান ফেরেনি। পরিস্থিতি খারপ হওয়ায় হাসপাতালের পরামর্শে পরে পরিবারের লোকজন উৎসকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। উৎস ভট্টাচার্য্য (১৭) কালীগঞ্জ উপজেলার খর্দ্দ-রায়গ্রামের উজ্জল ভট্টাচার্য্যরে ছেলে ও মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ইন্টার ১ম বর্ষের ছাত্র। ছেলের লাশ দেখে মা শাপলা ভট্টাচার্য্য বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। শুধু উৎস ভট্টাচার্য্যরে পরিবার নয়, বন্ধু বান্ধবসহ গোটা এলাকা যেন শোকে স্তব্ধ হয়ে যায়। এলাকায় নম্র-ভদ্র হিসেবে পরিচিত ১৭ বছরের সুদর্শন এই যুবকের অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। 

বাবা উজ্জল ভট্টাচার্ষ্য জানান, অনেক আগে  শ্বাসকষ্টের কারণে তাকে ডাক্তার দেখানো হয়। ডাক্তার দেখিয়ে ধরা পড়ে নাকের পলিপাস। বয়স ১৭ বছর না হওয়ায় নাকে অস্ত্রপাচার করা যাবে না বলে জানান ডাক্তার। উৎসের বয়স এখন ১৭ বছর। তাই পারিবারিক ভাবে তাকে নাকের পলিপাস সার্জারীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে ভর্তি করা হয় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসস্টান্ড সংলগ্ন ফাতেমা হাসপাতাল এন্ড ইকো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর তাকে প্রথমে রাত ১০টায়, পরে রাত ১২ টায় করা সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তার রাজিবুল ইসলাম। রাত ১২টায় সার্জারী না করে পরে ভোর ৫টায়  নাকের পলিপাস অস্ত্র পাচার করেন তিনি। অস্ত্রপাচারের পর উৎস ভট্টাচার্জ্য আর জ্ঞ্যান ফেরেনি। পরিস্থিতি খারপ হওয়ায় হাসপাতালের পরামর্শে পরে পরিবারের লোকজন উৎসকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে কান্না জড়িত বলেন, আর যে ভূল অস্ত্রপাচারে কোন মায়ের কোল খালি না হয়।  

ছোট রায় গ্রামের বাসিন্দা ও শিক্ষক পলাশ মুখার্জ্জি বলেন, প্রচুর রক্তপাতে সমষ্যার সৃষ্টি হয়েছে শুনলাম। রক্তপাতের পরও তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে ফাতেমা হাসপাতাল এন্ড ইকো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মালিক ইকরামুল ইসলামের ফোনে ০১৭২১-১১২৫৩৪ নাম্বরে ফোন দিলে নম্বরটি সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানাই। 

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান , ছেলেটাকে যশোর নেওয়ার পর মারা গেছে। এটা তো টেকনিক্যাল বিষয়। এ ব্যাপারে এখানো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


No comments

Powered by Blogger.