কোটচাঁদপুরে পানি নিষ্কাশনের খালের অবৈধ ক্লিনিক স্থাপনে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ,পানিবন্দি বহু পরিবার

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ রিপোর্টার -

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে তলিয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি। ফসল উৎপাদনের সংকটে পড়েছে প্রায় চার শতাধিক পরিবার। এতে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। কৃষি জমি ও আবাদে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিকূলতা। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহাজাহান আলী বলেন, আমার ছয় বিঘা জমির ধান পানির নিচে। ছিদ্দিক ও শহর আলী বলেন, আমাদের জমির ফসলও পানির নিচে। এদের সবার অভিযোগ উপজেলার পৌর শহর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি সরকারি খাল ছিল। ওই খালটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ওই এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ওই এলাকার ফসলি জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে বেশকিছু পরিবার। ফলে দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী, স্কুল শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাসহ কৃষকেরা। ইউনুস আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, বিল পাড়ে আমার বাসা। এই হেঁড়ে খালের বিল, পার্লাট বিল, ফুলবাড়ী বিধ্যাধরপুর গ্রাম সহ অত্র অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি মাত্র ছোট খাল আছে। যে খাল দিয়ে অত্র অঞ্চলের পানি যেয়ে পড়ে কপোতাক্ষ নদীতে। সেটি সংস্কারের অভাব ও খালের পাড় দখল করে অসাধু ব্যবসায়ীরা গড়ে তুলেছেন কয়েকটি অবৈধ ক্লিনিক ও বাসাবাড়ি। যার ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে ওই খালটি। এতে করে পানিনিষ্কাশনে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। যার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়। নষ্ট হয় আবাদি জমি, কৃষকের ঘাম ঝরানো ফসল। অন্যদিকে  পানিবন্দি হয়ে আছে অনেক গুলো পরিবার। তাই আমাদের দাবি পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। 

স্থানীয় বাসিন্দা ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম ও ছবুরা খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে বলছিলেন, দীর্ঘদিন খাল সংস্কারের অভাব ও খালের মধ্যে ক্লিনিক, বাসাবাড়ির আবর্জনায় খালটি ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তার ফলে আমাদের বাসা এখন পানির মাঝখানে। আর এ সব কৃষি জমিতে বছরে একটি ফসল উৎপাদন করতে হয়। তিনি আরও বলেন, গ্রামে বসবাসরত মানুষগুলো কৃষির উপর নির্ভরশীল তাই তাদের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়দের ভোগান্তি লাঘবে খাল সংস্কার করে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়েছে।
জাহিদ হাসান নামের অপর আর একজন বলেন, পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় গাবতলা পাড়া,মাঠপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাস্তা পানিতে ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারছে না।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক আনিসুল ইসলাের সাথে যোগাযোগ করতে তার  মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।



No comments

Powered by Blogger.