হরিনাকুণ্ডুতে কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু।

 


রবিউল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার :
 ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় সপ্তম শ্রেণী অধ্যয়নরত জিহাদ হোসেন নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। তবে সে বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল বলে জানা যায়। একরণে জিহাদের মৃত্যু ডেঙ্গু জ্বরে নাকি সাধারণ জ্বরে অথবা কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে এনিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের তাহেরহুদা গ্রামে।
জিহাদ হোসেন একই গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র। ছেলেটি শিবির কর্মী হিসেবে সৎ, নিষ্ঠাবান এবং ভাল ছাত্র হিসেবে এলাকায় সুপরিচিতি ছিল।
স্থানীয় এবং স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায় , বিগত। কয়েকদিন ধরে জিহাদ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল। গত শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর জিহাদ ক্লান্ত ও জ্বর শরীর নিয়েই প্রান্তিক কৃষক পিতার ধান ক্ষেতে বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করতে যায়। স্প্রে করার কারনে তার সারা শরীর ও নাকে-মুখে কীটনাশকের বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। স্প্রে শেষে বাড়ি ফিরে সে বমি করে, বুকে ও পায়ে ব্যাথার কথা বলে, সেই সাথে শরীরে জ্বরের তীব্রতা দেখা দেয়, আস্তে আস্তে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বাড়িতে একদিন অতিবাহিত করার পরে তার পরিবার নিকটস্থ স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যায়। রুগীর অবস্থা হঠাৎ করে গুরুতর খারাপ হওয়ায় সাথে সাথে অত্যাধিক শ্বাসকষ্ট ও বুকে তীব্র ব্যাথার কারণে তাকে রেফার্ড করা হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে।
জিহাদের বাবা সুরুজ আলী জানান, আমার ছেলে মাঠ থেকে ফিরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা তাকে দ্রুত চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করি কিন্তু আমার পুত্রের আর শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে মঙ্গলবার ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৩ তিনটার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
আন্দুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এই মেধাবী শিক্ষার্থী জিহাদের আকষ্মিক মৃত্যুতে গভির শোক প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদুল হক টিটুসহ অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবকও অগ্রজ অনুজ সহপাঠীবৃন্দ। এবিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আমাকে কেউ এ ঘটনা অবহিত করেনি। তবে আমি লোকমুখে শুনেছি বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

No comments

Powered by Blogger.