কালীগঞ্জে জমি-জমা বিরোধের জেরে নারী, বৃদ্ধসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখম: থানায় মামলা
রবিউল ইসলাম ,স্টাফ রিপোর্টার :
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জমি-জমা বিরোধের জেরে নারী, বৃদ্ধসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে পতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মহেশ^রচাঁদা গ্রামে। এ ঘটনায় ৩১ অক্টোবর ভূক্তভোগী ইমদাদুল হক বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২২।মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৭টার সময় উপজেলার মহেশ^রচাঁদা গ্রামের বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম (৭০) তার বাড়ির নিজ জমির ফাঁকা জায়গায় বাঁশের বেড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় একই গ্রামের প্রতিবেশী সেনা সদস্য সুজন জমি জমা বিষয়ে কথা কাটির এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় তাকে গালীগালাজ করতে থাকে। সিরাজুল ইসলাম গালি গালাজ দিতে নিষেধ করায় সুজন সহ ৪/৫ জন তাকে চাইনিজ কুড়াল, লাঠি সোটা, লোহার রড, শাবল, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। সিরাজুল ইসলামের চিৎকার শুনে তার স্ত্রী, ছেলে এবং ছেলের স্ত্রী ঠেকাতে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামে ছেলে ইমদাদুল হক বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো-মহেশ^রচাঁদা গ্রামের আজাবুলের ছেলে সুজন, মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে আজাবুল, আজাবুলের স্ত্রী জামেনা খাতুন, মিজানুর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জন।
মামলার বাদী ইমদাদুল হক বলেন, আমার বাবা বৃদ্ধ মানুষ গত মাসের ৩১ তারিখে সকালে আমাদের বাড়ির সিমানায় ফাঁকা জায়গায় বাঁশের বেড়া দিচ্ছিলেন এ সময় প্রতিবেশী আমার চাচাতো ভাই আজাবুলের ছেলে সেনা সদস্য সুজন আমার বাবাকে অবথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার আব্বা নিষেধ করায় আজাবুল, সুজন, সুজনের মা জামেনা বেগম ও মিজানুরের ছেলে মনিরুল আমার বাবাকে চাইনিজ কুড়ার, হাসুয়া, হাতুড়িসহ দেশীয় আস্ত্র দিয়ে মারতে থাকে। এ সময় আমার বাবার চিৎকারে আমার মা এবং আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঠেকাতে গেলে তার ডান পায়ের উরু এবং হাতে আঘাত করায় তার হাত ভেঙে যায়। আমার মাকে আঘাত করে মারাত্বক আহত করে। খবর পেয়ে আমি সেখানে গেলে আমার মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক আঘাত করে। এবং তারা আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও পিটিয়ে আহত করে। এ সময় আমার স্ত্রীর গলার ১২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, এবং আমার হাতে থাকা একটি জাপানি ঘড়ি তারা ছিনিয়ে নেয়, যেগুলোর বাজারমূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার ৫’শ টাকা। এ ঘটনায় আমি ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আর ৩/৪ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করি। এরপর অন্যান্য আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসলেও ১ নং আসামী সেনা সদস্য সুজন এখনও এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তারা আমাকে ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে খুন জখম করার হুমকি অব্যহত রেখেছে। আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
বিষয়টি জানতে বিবাদী সুজন হোসেনের ০১৬০২৯০০২৬৫ নং মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজিব জানান, মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসছেন। এখনও মেডিকেল রিপোর্ট আসেনি। ব্যস্ততার কারনে আমি ওই মামলাটা তদন্ত করতে একটু দেরী হয়ে গেছে। এ মামলার ১ নং আসামি এখনও জামিন নেননি এ বিষয়টি জানালে তিনি বলেন ওই কপিটি এখনও আমি দেখিনি। মেডিকেল রিপোর্ট আসলে পরবর্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.jpg)
No comments