গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে জনবল কম॥ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নেই নানা সমস্যায় জর্জরিত কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন

কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শামসুর রহমান জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ ফায়ার স্টেশনটি তৃতীয় শ্রেণীর স্টেশন। এখানে জনবলও কম। কালীগঞ্জ একটা গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হওয়ায় এবং এ শহরের উপর দিয়ে ঢাকা-খুলনা মহা সড়ক চলে যাওয়ায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে রয়েছে শত শত বিঘা পানের বরজ ও আখ ক্ষেত। সেখানেও প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অনেক সময় বড় দুর্ঘটনায় ৩০/৩৫ জন আহত হলে তাদের হাসপাতালে নেবার জন্য কোন এ্যাম্বুলেন্স থাকে না। যার কারনে অধিকাংশ দুর্ঘটনার পর পাবলিক গাড়ীতে করে রোগিদের হাসপাতালে পৌছাতে হয়। তা না হলে ঝিনাইদহ ও যশোরে খবর দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স আনতে হয়।
তিনি আরো বলেন, খুলনা বিভাগের মধ্যে এত গুরুত্বপূর্ণ ও বড় স্টেশন আর কোন উপজেলায় নেই। অথচ এখানে যেকোন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জন্য একটি পানিবাহী গাড়ী ও ১৯৮৪ সালের একটি পুরাতন ছোট গাড়ী আছে। ছোট গাড়িটি অধিকাংশ সময় নষ্ট থাকে। যার কারনে তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে স্টেশনটি দ্বিতীয় বা প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন বইতে মন্তব্যও করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারও সংসদে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তবে স্টেশনটির কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, স্টেশনটিতে জরুরী ভিত্তিতে একটি এ্যাম্বুলেন্স, একটি সেকেন্ড এ্যাকশান পিকআপ গাড়ী, ২ টি টু হুইলার মটর সাইকেলসহ হাইড্রোলিক বোল্ড কাটার, চেইন ’, র্যাম জ্যাক, ই¯েœাক ইজেক্টর ও ডোর ওপেনার প্রয়োজন। অনেক সময় পানের বরজে আগুন লাগে। রাস্তা সরু থাকায় সেখানে বড় গাড়ী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে টু হুইলার মটর সাইকেল থাকলে সরু রাস্তা দিয়ে দ্রুত প্রবেশ করে আগুন নেভানো সম্ভব হয়।
স্টেশন অফিসার শামসুর রহমান বলেন, এখানে একজন ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার, ১জন ড্রাইভার ও ৮ জন ফায়ারম্যানসহ মোট ১০ জন জনবল রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১০ জনের মধ্যে জহুরুল ইসলাম নামের একজন দক্ষ ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ফায়ার ম্যান আছেন। যিনি একাধিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত। গত ৮ জানুয়ারি ভোরে কালীগঞ্জে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুল কুদ্দুস (৩৮) নামের এক ড্রাইভার গাড়ীর মধ্যে আটকা পড়ে। ফায়ারম্যান জহুরুল ইসলাম দক্ষভাবে গাড়ী কেটে ওই ড্রাইভারকে উদ্ধার করেন। ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার শামসুর রহমানও অধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনটি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করার দাবি জানান।
সহমত।
ReplyDelete