ঝিনাইদহে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বর্ষবরণ



মানকি ঘোষ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- 

চারদিকে লাল-সাদা পোশাকের সমাহার। বাজছে ঢোল, ডুগডুগি। পথে পথে ভেঁপু। ঝিনাইদহের রা ভেসেছে বিপুল উচ্ছ্বাসে। ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণী-পেশা, বয়স নির্বিশেষে সব মানুষ শামিল হয়েছেন বৈশাখী উৎসবে। ভেদাভেদ ভুলে ঝিনাইদহবাসী বাংলা ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিয়েছে।
শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের উজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শৈলকুপা-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী, জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে বর্ষবরণ করা হয়েছে। এসময় বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখ নেহাত একটি বছরের শুরুর দিন নয় বাংলাভাষীদের কাছে। এটি এই জনপদের মানুষের সুদীর্ঘকালের আপন সাংস্কৃতিক চেতনা ও ঐতিহ্যের স্মারক। আপন জাতিসত্তায় অনুপ্রাণিত হওয়ার উৎস। সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের উর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্যবোধে দীপ্ত হওয়ার উপলক্ষও। এ কারণেই এই উৎসবের গুরুত্ব দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিণত হয়েছে বাঙালি জাতির জীবনে এক মহৎ উৎসব হিসেবে। এছাড়াও সকালে সরকারি ভেটেরিনারী কলেজ চত্বর থেকে অধ্যক্ষ ডা: আবদুল হাই এর নেতৃত্বে একটি ৱ্যালী বের করা হয়। ৱ্যালীটি ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। দিন ব্যাপি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ,খেলাধুলা ও পূরস্কার বিতরনী।

No comments

Powered by Blogger.