এবার কর্দমাক্ত রাস্তায় লাশবাহি এ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে পৌছে দিলেন এমপি আনার

 কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা:
এবার কাদাপথে লাশবাহি এ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে জনগণের সেবক পরিচয় দিয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তার নির্বাচনী এলাকা কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের ভিটেখোলা গ্রামে রফিকুল ইসলাম মালোয়েশিয়াতে ডেঙ্গু জ্বরে মারা যায়। শনিবার ভোরে বিমান যোগে তার মৃতদেহ ঢাকায় আনা হয়। সেখান থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্স করে মৃত রফিকুলকে গ্রামে নিয়ে আসে। গ্রামের পাকা রাস্তার মোড়ে এলে বৃষ্টিতে ভেজা কাদার রাস্তা দেখে চালক যেতে অসিকার করে। এসময় সেখানে উপস্থিত সাংসদ আনার নিজেই জীবনের ঝুকি নিয়ে কর্দমাক্ত দেড় কিলোমিটার পথে গাড়ি চালিয়ে মৃতদেহ বাড়ি পৌছে দেয়।
এরআগে কালীগঞ্জে একটি সড়ক দূর্ঘটনায় আহতদের নিয়ে নিজে এ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে যশোর হাসপাতালে পৌছে দিয়ে আলোচনায় আসেন।মালিয়াট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক সংগ্রাম বলেন, ভিটেখোলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম মালোয়েশিতে থাকতো। গত বুধবার সেখানে জ্বরে ডেঙ্গু  মারা যায় রফিকুল। সেখান থেকে বিমান যোগে শনিবার ভোরে তার মৃতদেহ দেশে আনা হয়। এরপর এদিন দুপুরে মালিকানাধিন একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।কিন্তু গ্রামে আসার পর তার বাড়ি যেতে প্রায় দেড় কিলোমিটার কাচা রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়। যেটা গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ভিজে এমন হয়েছে। ফলে এ্যাম্বুলেন্স চালক ঝুকিপূর্ণ এই রাস্তায় যেতে অসিকার করে। এসময় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার দুই ব্যক্তির জানাযার নামাজ শেষে আরো একটি জানাজার উদ্দেশ্যে ওই পথে যাচ্ছিলেন। সংসদ আনার ঘটনার জানার পর নিজেই এ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে রফিকুলের মৃতদেহ বাড়িতে পৌছে দেয়। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার জানান,আমি দুই ব্যাক্তির জানাযার নামাজ শেষে ওই পথে যাচ্ছিলাম। ভিটেখোলায় পৌছে দেখি লাশবাহি একটি এ্যাম্বুলেন্স কাদার রাস্তায় যেতে না চাওয়া গ্রামের মানুষ চালকের উপর বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। ফলে আমি নিজেই এ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে মৃতদেহটি বাড়িতে পৌছে দিই। এরপর নিজে উপস্থিত থেকে মৃত রফিকুলের দাফন শেষ করে ফিরে আসি, বলছিলেন তরুণ এই সংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার।উল্লেখ্য, আনোয়ারুল আজিম আনার বিশেষ কিছু বৈশিষ্টর কারনে এলাকার ভোটারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একজন নেতা। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার এলাকায় কখনো তাকে পুলিশি প্রটোকল ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তিনি নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে দিন অথবা রাত যখন প্রয়োজন তখনই নির্বাচনী এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলের যে কোন গ্রামে পৌছে যান। এছাড়া তিনি কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনীর এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলের গ্রামের পর গ্রাম চষে বেড়ান। একই দিনে ১০ জন মৃত ব্যক্তির জানাযায় অংশ গ্রহন করারও রেকর্ড রয়েছে তার।

No comments

Powered by Blogger.