রাজধানীতে আরটিভির সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে কালীগঞ্জে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেল ২৯ জানুয়ারি অনিয়মের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন আরটিভির প্রতিবেদক সোহেল রানা ও ক্যামেরাম্যান নাজমুল হোসেন সায়মন।
এরই প্রতিবাদে আর টিভির দর্শক ফোরামের আয়োজনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, রাজনীতিবীদ, ব্যবসায়ী, সুধীমহল, নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
সোমবার সকাল ১১ টার সময় কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ডে ঢাকা-খুলনা হাইওয়ের পাশে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
আরটিভি ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি শিপলু জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ পৌরসভার (ভারপ্রাপ্ত) মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ । বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক নবচিত্র সম্পাদক শহীদুল ইসলাম , কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি জামির হোসেন, ওয়াকার্স পাটি সাবেক সভাপতি কমরেড আব্দুস সালাম, বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম মন্টু, প্রবীন হিতেষি সংঘ ও জ¦রা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আনছার আলী মাষ্টার, প্রবীন সাংবাদিক আলহাজ¦ আবুসামা, ছাত্রলীগ সভাপতি আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা, রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাংবাদিক নয়ন খন্দকার। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক হাবিব ওসমান, মর্জিনা খাতুন, সাংবাদিক, আরিফ মোল্লা, বেলাল হুসাইন বিজয়, মিশন আলী, আহসান কবির, শাহ আলম, রাজু আহমেদ শাহিন, লালন মন্ডল প্রমুখ ।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিদের ওপর হামলা মানে দেশের বিবেকের ওপর হামলা। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। বক্তারা আরো বলেন হামলাকারীদের ছবি এরই মাঝে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা চাই এসব হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সরকার ও জনগণের কাছে তুলে ধরে। সাংবাদিকরা কারোই প্রতিপক্ষ মনে করেন না। কিন্তু বারবারই সাংবাদিকদের ওপর নগ্ন হামলা হচ্ছে। সরকারকে অবশ্যই এসব হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধের ময়দানেও সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয় না। কিন্তু ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। এখানে যেকোনো পরিস্থিতিতে হামলার শিকার হয় সাংবাদিকরা। কিন্তু বারবারই এসব হামলাকারীরা পার পেয়ে যায়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, অতি দ্রুত সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ আইন করা হোক। যাতে আর কেউ সাংবাদিকদের ওপর হামলার সাহস না পায়।
সময় বক্তারা মুগদা জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে বলেন, মুগদা হাসপাতালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি'র সাংবাদিক সোহেল রানা ও ক্যামেরাপারসন নাজমুল হোসেন সায়মনের ওপর হামলা চালায় হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আসিফ ও সায়মন এই হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ঐ হাসপাতালে পরিচালক আমিন আহমেদ খানের পদত্যাগ দাবী করেন।

No comments

Powered by Blogger.