যথাযোগ্য মর্যাদা, শৈলকুপায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শৈলকুপায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়।মঙ্গলবার সকালে কর্মসূচির অংশ হিসেবে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা র‌্যালিতে অংশ নেয়। র‌্যালিটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে সকাল ৬ টায় শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উসমান গনির নেতৃত্বে কবিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিককৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এরপর বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, আ'লীগ, ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে সকাল ৮টায় সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে পায়রা উড়িয়ে স্বাধীনতা দিবসের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াতের পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনির সূচনা বক্তব্যের পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার মোশাররফ হোসেন ও শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে মনোরম ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয় ।পরে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হল রুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উসমান গনির সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনের এমপি আব্দুল হাই।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুুদ্ধ শুধু আমাদের বিজয়ের ইতিহাস নয়, আমাদের দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণা যোগায় এবং আমাদেরকে উজ্জীবিত করে। দেশ বিনির্মাণের জন্য দরকার আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়ে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করা। তিনি আরও বলেন বর্তমান জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকারে নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিনত হবে।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেখার ইউনুস, উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার মোশাররফ হোসেন,ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্যা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা নাসরিন লিপি, জেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গোলাম রইচ,সাবেক উপজেলা কমান্ডার রহমত আলী মন্টু, মনোয়ার হোসেন মালিতা প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এসআই আতিয়ার রহমান।এ আলোচনা সভা শেষে ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেষ্ট ও ৩০ জনকে মহিলাকে শাড়ি প্রদান করা হয়। এর আগে আলোচনা সভার শুরুতে উপস্থিত ৫’শ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.