প্রয়োজন একটি হুইল চেয়ার কালীগঞ্জে শারীরিক ও মানষিক প্রতিবন্ধী মিথিলার ভাগ্যে জোটেনি একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড

স্টাফ রিপোর্টার:
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কলেজ পাড়ার ভাড়াটিয়া খোকন দাসের ১০ বছরের শারীরিক ও মানষিক প্রতিবন্ধী মিথিলার ভাগ্যে জোটেনি একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড। অনেকে তাদের কথা দিয়েছে কিন্তু কেউই কথা রাখেনি! জন্মের পর থেকেই সে প্রতিবন্ধী। দুই পা চিকন ও বাঁকা একে বারেই দাঁড়াতে পারেনা। এমনকি কথাও বলতে পারেনা সে। টাকার অভাবে তার চিকিৎসাও ঠিক মত করাতে পারেন না তার ভ্যান চালক বাবা। খোকন দাসের দুই মেয়ে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন দু বছর আগেই। গ্রামের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর (রঘুনাথপুর) গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে কালীগঞ্জ পৌরসভার দুই নং ওয়ার্ড কলেজ পাড়ায় প্রফেসার চ-ি পদ সাহার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। খোকন দাসের জমিজমা বলতে কোন কিছুই নেই। মিথিলার ভ্যান চালক বাবা একটুুখানি আর্থিক সহায়তার জন্য (প্রতিবন্ধী ভাতা) ঘুরেছেন বর্তমান এবং সাবেক কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে। তাতে কোন লাভ হয়নি সবাই শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন। কিন্তু এতদিনও একাটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড জোটেনি মিথিলার ভাগ্যে। মিথিলাদের ভাড়া বাড়িতে মিথিলাকে দেখতে এই প্রতিবেদক যখন তাদের বাড়িতে যান তখন সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের অবসর প্রাপ্ত প্রফেসর চন্ডি পদ সাহা বড় আক্ষেপ করে বলেন, কেউকি নেই এই অসহায় মেয়েটির একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেবে ?

প্রতিবন্ধী ভাতা তার প্রাপ্য হলেও কি কারণে প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে সে বঞ্চিত তা জানেন না তার বাবা। দ্বারে দ্বারে যেতে যেতে এখন প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছেন। মিথিলার বাবা ভ্যান চালিয়ে কোন ভাবে

চালিছে যাচ্ছেন সংসার যেন নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তাছাড়া মিথিলার বড় বেশী প্রয়োজন একটি হুইল চেয়ার। তানাহলে সারা দিন তাকে মাটিতেই শুয়ে বসে কাটাতে হয়।

মিথিলার বাবা খোকন দাস জানান, তার কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন কার্ড ও ছবি নিয়েছে অনেকেই কিন্তু কেউ একটি কার্ডও করে দিতে পারেনি। নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলারদের কাছে অনেকবার গিয়েছি আমার প্রতিবন্ধি মেয়েটার জন্য কিন্তু কোন কাজ হয়নি শুধু আশ^াসই পেয়েছি।

No comments

Powered by Blogger.