তালসার বাজার কমিটির নেতাদের লাঞ্চিত করার অভিযোগ, বিচারের দাবিতে আধাবেলা ধর্মঘট পালিত

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার বাজার কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য নেতাদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ওই বাজারে আধাবেলা ধর্মঘট পালিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় এই লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নেতারা। ব্যবসায়ী নেতারা ঘোষনা দিয়েছেন এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছেন, প্রতিকার না হলে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার ধর্মঘটে যাবেন তারা।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, তালসার বাজারে একটি বাজার কমিটি রয়েছে। যারা সিদ্ধান্ত দেন বাজারে কোনো প্রতিষ্টান হালখাতা কবে হবে। একসঙ্গে একাধিক হালখাতা গ্রামের বাজারে নানা সমস্যা দেখা দেয় বলে তারা সমিতির পক্ষ থেকে তারিখ নিদ্ধারন করে নেন।
গত চারটি বছর এই নিয়ম চলে আসলেও বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান লিটন নিজের ইচ্ছায় তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে হালখাতার তারিখ নিদ্ধারন করেন। ওই দিন সমিতির সঙ্গে পরামর্শ করা বেশ কয়েকটি দোকানের হালখাতা দিন ধায্য রয়েছে। যাদের দোকানে হালখাতার জন্য আগে থেকেই দিন দেওয়া রয়েছে তারা লিটনের এই দিন নিয়ে আপত্তি নেন। যা নিয়ে তারা সমিতির নেতারা লিটনের সঙ্গে কথা বলতে যান। রবিবার সন্ধ্যা কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই লিটন তার কয়েকজন সঙ্গি নিয়ে সমিতির নেতাদের উপর চড়াও হন। শুথু চাড়ও নয়, তাদের শারীরিক ভাবেও লাঞ্চিত করেন বলে াভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা মঙ্গলবার আধাবেলা বাজার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। পাশাপাশি ঘটনার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন।
জাহিদুল ইসলাম আরো জানান, তাদের ঘোষনা অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ ছিল। তারা অপেক্ষা করছেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি সমাধান দেওয়া হয়। অন্যথায় বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার ধর্মঘটে যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
অবশ্য এ বিষয়ে জাহিদ হাসান লিটন জানান, তিনি যাদেরকে বাকিতে মালামাল দিয়েছেন, তারা যেদিন তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন সেটা বিবেচনা করেই হালখাতার তারিখ নিদ্ধারন করেছেন। কিন্তু বাজার কমিটি তার সেই দিনের হালখাতা বন্ধ করার জন্য চাপ দেন। তিনি বন্ধ করতে রাজি না হলে কমিটির লোকজন তাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি সোমবার থানায় একটি ডায়েরী করেছেন। এই ডায়েরী করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বাজার বন্ধ করে রেখেছেন। তাকেও দোকান খুলতে দিচ্ছে না বলে জানান। তিনি অভিযোগ করেন, বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের মতামত বা ভোট না নিয়ে বাজার কমিটি গঠন করে তারা তাদের খেয়ালখুশি মতো কাজ করে চলেছেন।




No comments

Powered by Blogger.