ঔষধি গুনে ভরপুর ড্রাগন ফল ।

এস এম টিপু :
 ঔষধি গুণে ভরপুর
বিদেশী এক ফলের নাম ড্রাগন ফল।
ক্যান্সার থেকে শুরু করে ডায়াবেটিসসহ
নানা রোগের মহাঔষধ এই ড্রাগন ফল। এ
ফল দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও
তেমন সুস্বাদু। ঔষধি গুণে গুণান্বিত,
রসালো এবং মুখরোচক এই ড্রাগন ফল
বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে লাভবান
হয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলার মোঃ আশরাফ হোসেন স্বপন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,
উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের
পূর্ব বালিয়াডাংগা গ্রামের মোঃ আশরাফ হোসেন স্বপন নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন
ভিয়েতনামের ড্রাগন ফলের বাগান।
দীর্ঘদিনের ইচ্ছা শক্তি থেকেই তিনি 
প্রায় চার বছর আগে ১০০ শতাংশ জমির
উপর এই ফলের বাগান তৈরি করেন। তার
বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি
ড্রাগন ফলের গাছে শোভা পাচ্ছে
বিদেশী এই ফল। ফলটি পাকার পর
অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়। ক্যান্সার ও
ডায়বেটিস সহ বিভিন্ন রোগের জন্য
অত্যন্ত উপকারী এই ফল। আশরাফ হোসেন স্বপন এর 
তিন একর বাগানে চারশত ৪০ টি ড্রাগন
ফলের গাছ রয়েছে। প্রায় সব গাছেই ফল
এসেছে। গত বছর তিনি প্রতি কেজি
ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন ৩ থেকে ৪
শত টাকা। চলতি বছরে তিনি সাড়ে এক
হাজার কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি
করেছেন। যার থেকে দাম পেয়েছেন
প্রায় চার লাখ টাকা। তিনি আশা করেন
আগামী বছর তার বাগার থেকে প্রায় ৩
হাজার কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি
করবেন। এভাবে ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত
ফল আসতে থাকবে বলে তিনি জানান।
মোঃ আশরাফ হোসেন স্বপন আরো বলেন, এটি অত্যন্ত
লাভজনক একটি ভেষজ ফল। আমি
অন্যান্য কৃষি কাজের পাশাপাশা এই
ফল বাগানের পরিচর্যা করে থাকি। এই
ফল এখন অত্যন্ত লাভজনক ফসলে পরিণত
হয়েছে। আমার এলাকাসহ আশপাশের
বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন
লোকজন আসে ড্রাগন ফলের বাগান
দেখতে।
ড্রাগন ফলের গাছ মূলত কা- থেকে হয়। এই
ফল চাষ করার জন্য অতিরিক্ত কোন
রাসায়নিক সার বা কীটনাশকের কোন
প্রয়োজন হয় না। শুধু মাত্র জৈব সারই
যথেষ্ট। গাছ লাগানোর প্রায় ছয় মাস পর
থেকে ফল আসতে শুরু করে এবং ফলের
বয়স ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে খাওয়ার
উপযোগী হয়। বর্তমানে ভিয়েতনাম,
থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এ ফল বেশ
জনপ্রিয় খাবার হিসেবে স্থান করে
নিয়েছে। তাছাড়া তিনি আগামী বছর ১০ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ করবেন বলে জানান।
মোঃ আশরাফ হোসেন স্বপন অভিযোগ করেন যে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের সহযোগিতা পান নাই।তিনি আরও বলেন যদি উপজেলা কৃষি অফিস বা কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা পেলে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারতেন।

No comments

Powered by Blogger.