সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ও আমাদের দায়বদ্ধতা

তরিকুল ইসলাম, ইবিঃ
বিগত কয়েক মাস জুড়ে বেশ কিছু আলোচিত ঘটনা ও দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ হত্যার মত জঘন্য ঘটনার অবতাড়না হয়েছে৷ গত ৬ এপ্রিল ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান কে পুড়িয়ে হত্যা, ২৬ জুন বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফ কে কুপিয়ে হত্যা, ২৭জুন পন্ঞ্চগড়ে প্রতিবাদী নার্স তানজিনার মৃত্যু হয় ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর৷ অন্যদিকে বালিশ কেলেঙ্কারি, রেল দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি প্রভৃতি যেন দেশটাকে নরকে রূপ দিয়েছে৷
বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা ব্যাপক সমালোচিত ইস্যু৷ হত্যার বিচারের জন্য দুটি বিষয় সামনে আনতে হবেঃ
১. হত্যাকারী কে অবশ্যই মৃত্যুদন্ড দিতে হবে৷ তবে তার প্রশ্বয় দানকারীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে৷ যেমন-
এক. মাদকখোর ও মাদক ব্যবসায় জড়িতদের ;
দুই. মাদক ও সন্ত্রাস উভয়কে প্রশ্বয় দিয়েছে নোংরা রাজনীতির প্রভাব বিস্তারকারী ও নেশাগ্রস্থ কিছু গুন্ডাপান্ডা ৷ এদের বিচার হতে হবে সবার আগে৷
২. হত্যার পেছনে ফাক ফোকর সৃষ্টিকারী ( নারী) , তার সাথে হত্যাকারীর অবৈধ সম্পর্ক ( মূলত প্রেমের সম্পর্ক) ছিল ৷ যা প্রকাশ্যে এক্স বউ বা এক্স গার্লফ্রেন্ড নামে পরিচয় বেরিয়ে এসেছে৷ কাজেই হত্যার পেছনে ঐ নারীও একটি নিয়ামক৷ তাকে শাস্তির আওতায় আনার মাধ্যমে বিবাহ বহির্ভূত এসব প্রেমপ্রীতি (অপ্রকাশ্য সম্পর্ক) নামক ভয়ঙ্কর অভিশাপ থেকে সব মেয়েদের সতর্ক করতে হবে৷
মানুষ মানুষকে ভালবাসবে এটাই স্বাভাবিক৷ সেই ভালবাসা যেন প্রকাশ্য হয়, সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতির অধীন হয়৷ কিন্তু ইদানীং প্রেম ভালবাসার নামে রীতিনীতি বহির্ভূত কর্মকান্ডই অঘটনের মূল নিয়ামক৷ এসবের নিয়ন্ত্রণ অতীব জরুরী, অন্যথায় এহেন অপরাধ আর অভিশাপের ফল কাউকে না কাউকে ভোগ করতেই হবে, হতে পারে নিরীহ কাউকেও৷ তাই আসুন সঠিকভাবে বিষয়গূলি বুঝার চেষ্টা করি৷
স্যোসাল মিডিয়ায় আমার এরূপ আলোকপাতের সূত্রে আই এফ আই সি ব্যাংক,পাবনা শাখার ম্যানেজার অপারেশনস রকিবুল হাসান মন্তব্য করেন, ট্রয় নগরী ধংস হয়েছিলো নারীর কারনে,তাজ মহল তৈরী হয়েছে নারীর কারনে,নবাব সিরাজের জীবনে একি কাহিনী,দুই টা কারনে মানুষ খুন হয়, একটা হলো নারী ও অন্যটা অর্থ,মূল কে সেটা ত ভালো করেই বুঝতে পারছি,দোষ কার না ভেবে দোষী কে উত্তম সাজা দেওয়া হোক এটাই কাম্য৷
মাদক ও সন্ত্রাস অপর একটি বিষবৃক্ষ যার পেছনে অপরাজনীতির হাত রয়েছে৷ আজ শুক্রবার প্রথম আলোর ৭ পৃষ্টার তৃতীয় কলামে উঠে এসেছে এরকমই একটি চিত্র৷ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রাবাসে মাদকের আড্ডা চলে নিয়মিত এবং গত বুধবার মাদক সেবনরত অবস্থায় কয়েকজনকে আটক করে ছবি তোলার পর ঘটনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে৷ এর পেছনেও রয়েছে সেই নোংরা রাজনীতি আর তাদের কুপ্রভাব৷ এটি একটি উদাহরণ মাত্র, সারাদেশের অধিকাংশ বৃহৎ কলেজের অবস্থা একই৷ এ বিষয়ে সরকার, প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক সমাজ সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন এহেন অবস্থা থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রকে বাঁচাতে৷
মোঃ তরিকুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়৷

No comments

Powered by Blogger.