রাত্রি জাগরণ ও নেশাগ্রস্থতা

তরিকুল ইসলাম, ইবিঃ
একটি জাতির উন্নতি নির্ভর করে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা আর সময়ের সদ্য ব্যবহার করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার উপর৷ সময়ের কাজ সময়ে না করলে বিপদের আশঙ্কা চিরন্তন৷ প্রবাদে আছে, ' সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়'৷ বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা কেমন যেন সময় জ্ঞানহীন হয়ে পড়েছি৷ বিশেষ করে তরুণ সমাজের একাংশ প্রয়োজনের চাইতে অপ্রয়োজনে রাত জেগে থাকছে, সারারাত প্রযুক্তিতে ডুবে থাকছে৷ ফলে প্রতিদিনের কাজকর্ম রীতিমত ব্যাহত হচ্ছে৷ এর কিছু নমুনা উল্লেখ করি—
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল মোড়ে কথা হয়েছিল ইবি মেডিকেল সেন্টারের একজন স্টাফের সঙ্গে ...
সেদিন উনি বলেছিলেন,"আজ ছয়জন হাসপাতালের বেডে অজ্ঞান হয়ে শুয়ে আছে, সবকয়টা মেয়ে আর আজই এসেছে এই ছয়জন ৷"
আচ্ছা কেন এমন হল , জানেন কি?
উনি বললেন, "আসার কারন -রাত তিনটা চারটা পর্যন্ত জেগে থাকে , সকালে তড়িঘড়ি করে না খেয়েই ঘুমন্ত অবস্থায় ক্লাসে আসে , তারপর .....,তো আর কি হবে৷" অনেক ছেলেদের ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা যায়৷
বিজ্ঞান গবেষনায় বলছে , নিয়মিত রাত্রিজাগরণ মানুষের স্মৃতি শক্তি কমিয়ে দেয়, চোখের জ্যোতি কমে যায়৷ একথা সৃষ্টিকর্তা কুরআন মাজিদেও বলেছেন৷ চিকিৎসা বিজ্ঞানেও পর্যাপ্ত ঘুম ও আঁধারে ঘুমের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে৷
রাতের অংশে অবশ্যই ঘুমের প্রয়োজন এবং অবশ্যই সেটা হতে হবে আঁধারে৷ কিন্তু ইদানীং আমরা বিশেষ করে তরুণ সমাজ রাত জেগে থাকে আর দিনের বেলায় ঘুমায়৷ এ ধরনের অনেকেরই আমি দেখেছি যাদের কিছূ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ তাই অভ্যাসগুলি পরিবর্তন করা উচিত৷
অপর একটি মারাত্মক দিক হল, তরুণরা আজ নেশাগ্রস্থ ( গাজা, ধুমপান, মাত্রারিক্তিত ফেইসবুকিং, চ্যাটিং, রাতবিরাতে ফোনালাপ/প্রেমালাপ ইত্যাদিতে আসক্ত) ৷ এসবের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন, নয়তো তরুণ সমাজ ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে পড়বে৷ যদিও এসবের ব্যাপারে শিক্ষিত সমাজ তেমন কিছুই ভাবে না , তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক মা-বাবা হয়ে পড়েছেন ভারসাম্যহীন৷
তাহলে আর সন্তানদের দোষ কোথায়?
সৃষ্টিকর্তা সবাইকে হেফাজত করুন৷

No comments

Powered by Blogger.