ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের অদূরে গড়ে উঠেছে আধুনিক শহর

বাবুল আক্তার, ॥
একটি স্বপ্নের শহরের কল্পনা করা যেতে পারে। যেখানে একসময় ধান আর আখ ক্ষেত ছিল। সেখানে হবে শহরের আদলে একটি আধুনিক শহর! আর সেটাই হতে চলেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের সুগারমিল ও দুলালমুন্দিয়া মাঝামাঝি বড়রায়গ্রামের ফাঁকা মাঠে। মহাসড়কের দু’ধারে মাঠের মধ্যে পুরো ওই মার্কেটের বাস-ট্রাক মেরামতের গ্যারেজ গুলিই হবে পরিবেশ বান্ধব। আর জানজট মুক্ত ও দূষণ মুক্ত হবে কালীগঞ্জ শহরবাসী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কালীগঞ্জ শহরের মটর গ্যারেজগুলি সামনে সড়ক ঘেঁষে যানবাহন রেখে সারাবছরই মেরামতের কাজ চলে। এসব স্থানে যানবাহন গুলো পার্কিংও করা হচ্ছে অপরিকল্পিত ভাবে। এ ছাড়া নিমতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মানু বাবুর ঘোষ মার্কেটের সামনে কোনো মোটর গ্যারেজ না থাকলেও এখানে সড়ক ঘেঁষে পার্কিং করা হয় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। আর পার্কিং করা গাড়িগুলো ঘুরিয়ে সড়কে ওঠানোর সময় মহাসড়কের দু'দিক থেকে আসা দ্রুতগামী যানবাহনের প্রায়ই ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরাও। তারা আরও জানান, শহরের বৈশাখী তেল পা¤প সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্যারেজে গাড়ি রেখে নতুন-পুরাতন গাড়ির বডি তৈরি করা হচ্ছে। কোনো কোনো গ্যারেজের সামনে সড়ক ঘেঁষে কয়েক দিন ধরে নষ্ট যানবাহনও রেখে দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মটর গ্যারেজগুলি যদি কালীগঞ্জ শহরের অদূরে হয় তাহলে শহর হবে জানজট মুক্ত ও দূষণ মুক্ত। তবে, শহর থেকে দূরে হলেও দারুন খুশি গ্যারেজ মালিক ও গাড়ি মেরামত করতে আশা ভ্রাইভাররা।
বড়রায়গ্রাম ফাকা মাঠের গ্যারেজ মালিক লিটন উদ্দীন জানান, আগে আমার গ্যারেজ ছিল শহরের শিক্ষক সমিতির সামনে আমির মৌহরীর মাক্র্েেট। সামনে পর্য়াপ্ত জায়গা না থাকায় সড়ক ঘেঁষে যানবাহন রেখে মেরামতের কাজ করতে হয়। ফলে জানজট লেগে থাকে ও দূর্ঘটনা সম্ভবনা থাকে। একারণে আমরা ফাকাই চলে এসেছি। এখানে পার্র্কিং এর কোন সমস্য নাই সুন্দর ও নিরিবিলি পরিবেশে আমরা কাজ করতে পারছি। তবে, এখানে পর্য়াপ্ত পরিমানে পার্সের দোকান না হওয়ায় এখনো মাঝে মধ্যে শহরে যেতে হয়।
বড়রায়গ্রাম ফাকা মাঠের গ্যারেজে মটরগাড়ি মেরামত করতে আসা ভ্রাইভার রিদয় জানান, আগে শহরের মধ্যে গাড়ি মেরামত করতাম সেখানে জায়গা কম ছিল গাড়ি রেখে কাজ করা যেত না আর কাজ করেও শান্তি পেতাম না । এখানে ফাকা জায়গা নিরিবিলি পরিবেশে কাজ করানো যায়। এখানে বাতরুমসহ গোসল করা ব্যাবস্থা আছে। তাছাড়া এখানে মটর পার্স কেনার একটু সমস্য হলেও পর্য়ায়ক্রমে হয়ে যাবে বলে আশাবাদ তিনি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কালীগঞ্জ শহরের প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের সুগারমিল ও দুলালমুন্দিয়া মাঝামাঝি ফাঁকা মাঠে দু’ধারে বড়রায়গ্রাম নিউ মার্কেট ও ছাত্তার আয়েশা সুপার মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট গড়ে উঠেছে। এখানে ভলকানাইজ গ্যারেজ, পার্সের দোকানসহ খাবার হোটেল ও অসংখ্য চায়ের দোকানও জমজমাট হয়ে উঠেছে।

No comments

Powered by Blogger.