ঝিনাইদহে বিরল রোগে আক্রান্ত গৃহ বধু!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি -
ঝিনাইদহেদ এক গৃহবধূর দুই পায়ের পাতা দিয়ে মেহেদী রং আকৃতির ঘামের সাদৃশ্য পদার্থ বের হচ্ছে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় তার পায়ের পাতায় মেহেদী লাগানো হয়েছে।বিশ্রামে থাকলে একটু কম হলেও হাঁটাচলা করলে বেশি বের হয়। কয়েকদিন হলো তার হাতের তালুতেও অল্পমাত্রায় এই ধরনের ঘাম শুরু হয়েছে। এই গৃহবধূ নাম অর্নিতা আক্তার লিজা । তিনি ঝিনাইদহ সদর থানার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ২য় কন্যা।মাত্র ১১ বছর বয়সে ৬ষ্ট শ্রেণিতে পড়াকালীন লিজা’র ঝিনাইদহ সদরের নলডাঙ্গা ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ গোলাম মোস্তফা এর ছেলে মোঃ রনি হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। বর্তমানে তার একটি ৫ বছরের ছেলে সন্তান আছে।লিজা জানায় দীর্ঘদিন ধরে তার দু’পায়ের পাতা থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝরতো তবে সেটা স্বাভাবিক ঘামের রং ছিলো কিন্তু গত একমাস পূর্ব থেকে সেই ঘামের রং মেহেদী রং ধারন করেছে এবং ঘামের মাত্রাও অস্বাভাবিক পরিমান ধারন করেছে। এই অস্বাভাবিক রং এর ঘাম দেখে সে এবং তার পরিবার আতংকিত হয়ে প্রথমে সে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের বক্ষব্যাধি মেডিসিন ও এ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোঃ জাকির হোসেন এর নিকট যায় সে সঠিক রোগ নির্নয় করতে না পেরে “রেনোড ফেলোমেন” নামক রোগ মনে করে কিছু ঔষধ খেতে পরামর্শ দেয় তাতে কোন উপকার হয় না। তারপর তারা মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ শেখ আব্দুল ফাত্তাহ এর নিকট চিকিৎস্যা গ্রহণ করে। তিনি সঠিক রোগ নির্নয় না করতে পেরে অনুমান নির্ভর করে কিছু ঔষধ দেন কিন্তু তাতে ও তেমন কোন উপকার হয়না। তারপর তারা খুলনা মেডিকেল হাসপাতাল এন্ড কলেজ এ ভর্তি হয়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ড বসিয়েও রোগ নির্নয় করতে পারে নাই। তারা বলেন এধরনের কোন রোগ আমাদের জানা নাই। বর্তমানে সে ভারতে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তাই পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করেছে। পার্সপোট পেলে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করবে এবং ভিসা পেলেই ভারতে যাবে বলে তার পারিবারিক সুত্রে জানা যায়।

No comments

Powered by Blogger.