শিক্ষক লাঞ্চনা প্রতিবাদে ইবি‘েত মৌন মিছিল


বিপ্লব খন্দকার, ইবি-
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্ত:বিভাগ ফুটবল টূর্নামেন্ট শিক্ষক লাঞ্চনা ও আহত শিক্ষার্থী প্রতিবাদে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে (ইবি) মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। সকাল ১০ টায় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ২দফা দাবির কথা উল্লেখ করে ভিসি বরাবর স¥ারকলীপি জমা দেয়।
জানা যায়, গত রবিবার (২২ সেপ্টম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় ইবিতে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্ত:বিভাগ ফুটবল টূর্নামেন্টে দুই বিভাগের খেলোয়াড়দের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষটি ইবির কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে মার্কেটিং ও ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাথে ঘটে। এতে ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষকসহ ৮জন খেলোয়াড় আহত হয়। এর প্রতিবাদে ট্রুরিজম বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনে থেকে মৌন মিছিল করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ মূরালের পাদদেশে গিয়ে মানবন্ধনে মিলিত হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতে ২ দফা দাবি জনানা। দুই দফা দাবির প্রথমটি তদন্তের ভিত্তিতে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দ্বিতীয়টি এধরণের সকল অপৃতীকর ঘটনার পুন:রাবৃত্তির রোধে মার্কেটিং বিভাগকে বিশ^বিদ্যালয়ের সকল খেলাধূলা থেকে বিরত রাখতে হবে বলে জোর দাবে জানান শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ট্যুরিজম বিভাগের খেলোয়াড় নাঈম গোল করতে গেলে মার্কেটিংয়ের এক খেলোয়ারের সাথে ধাক্কা লেগে দুজনেই পড়ে যায়। এসময় মার্কেটিং বিভাগের ওই খেলোয়াড় নাঈমের মুখে লাথি মারে। ঘটনায় নাইম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মার্কেটিং বিভাগের অন্যান্য খেলোয়াড়রা একত্রিত হয়ে নাঈমের ওপর চড়া হয়। এক পর্যায়ে দর্শকসারি থেকে কয়েকজন মাঠের মধ্যে প্রবেশ করে নাঈমকে ও একই দলের আল-আমিনকে মারধর করতে শুরু করে। এসময় তাদেরকে রক্ষা করতে ট্যুরিজমের অন্য খেলোয়াড়রা এগিয়ে আসলে দুই দলের মধ্যে বাকবিতান্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দ্’ুবিভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ট্যুরিজম বিভগের শিক্ষক শরীফুল ইসলাম জুয়েল তাদেরকে থামাতে আসলে তার উপরও হামলা করে মার্কেটিং বিভাগের সমর্থকরা। এসময় শিক্ষককে বাঁচাতে বিভাগের কর্মচারী মোস্তাফিজ এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করে বিক্ষুব্ধরা। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক দেখা গেলে টূর্নামেন্টের ক্রীড়া কমিটির সিদ্ধান্তে দুই দলের মধ্যকার খেলা স্থগিত ঘোষণা করে কমিটি। এতে খেলাটি গোল শূন্যে অমিমাংশিত থাকে। পরে ক্রীড়া বিভাগের শৃঙ্খলা কমিটির প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। এসময় ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জুয়েল, খেলোয়াড় সুজন, আল-আমিন, রাজ, রাফি, সালেহ সহ ৮ জন আহত হয়। পরে আহত সকলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়া গুরুতর আহত ২ জনকে কুষ্টিয়া মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আদিল সরকার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কাপ টূর্নামেন্টে হামলা করা মানেই বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা। এই টূর্নামেন্টে যারা নেক্কার জনক আচারণ করতে পারে তারা সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করেছে। সুধু খেলোয়ার নয় তারা একজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারী গয়েও হাত দিয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থী একজন শিক্ষক এর গায়ে হাত দিতে পারে তারা শিক্ষার্থী নয়। এরা শিক্ষার্থীরূপে কলঙ্ক।

No comments

Powered by Blogger.