১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতিতে ইবি কর্মকর্তারা

বিপ্লব খন্দকার, ইবি-
ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তা সমিতির কর্মকর্তরা ১৩ দফা দাবিতে আদায়ের লক্ষে কর্মবিরতিতে নেমেছে । সোমবার বেলা ১১টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করেন তারা। দাবি আদায় না হলে লাগাতার কর্মসূচি প্রদান করা হবে বলে জানায় কর্মকর্তা সমিতি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, দাবি সমূহ বিশ^বিদ্যালয়ের পোষ্য কোঠায় ভর্তির ক্ষেত্রে নূন্যতম যোগ্যতা থাকলেই ভর্তির ব্যবস্থা করা, অফিস সময় ৯টা থেকে সাড়ে ৪ টার পরিবর্তে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টা, চাকরি অবসরের বয়সসীমা ৬০ থেকে ৬২ বছরে উন্নীতকরণ, উপ-রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন চতুর্থ গ্রেড এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন ষষ্ঠ গ্রেড, শাখা কর্মকর্তা হতে উপ-রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে মোট চাকুরিকাল ১০ বছর, দপ্তর প্রধান পদে স্থায়ী ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নিয়োগের ব্যবস্থা, বিধি মোতাবেক অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বা সমমান পদে নিয়োগ, বিশ^বিদ্যালয় কল্যাণ তহবিলের অর্থ প্রচলিত ৩টি বেতন ভাতার পরিবর্তে ১৫টি বেতন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা, চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্মরত সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসারদের ডেপিুটি চীফ টেকনিক্যাল অফিসার পদে পদোন্নতি ও আপগ্রেডিং এর ব্যবস্থা, পদোন্নতিপ্রাপ্ত সাত কর্মকর্তাকে প্রাপ্তির তারিখ থেকে প্রাপ্ত সুবিধা প্রদান, শিক্ষা জীবনের সকল পর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগ বা শ্রেণী প্রাপ্ত কর্মকতাদের সার্বজনীন রেয়াত হতে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত কর্মকতাদের ছয় মাসের রেয়াত কর্তন না করা, পদোন্নতি প্রাপ্ত আট কর্মকর্তাকে প্রাপ্তির তারিখ থেকে প্রাপ্ত সুবিধা প্রদান, সৃষ্টিকৃত সিনিয়র পেশ ইমাম পদটি চূড়ান্ত অর্গানোগ্রামে অর্ন্তর্ভূক্ত করা, । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে বিশ^বিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি। পরে ২০১৯ সাালের বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়ে যায় তারা। তবে প্রশাসনের আশ^াসে আন্দোলন তুলে নেয় কর্মকর্তা সমিতি। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আজ সোমবার পুণরায় আন্দোলনে নামে তারা।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহা বলেন,‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে কর্মকর্তা সমিতি।’
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন,‘কর্মকর্তাদের আন্দোলন দীর্ঘ দিনের। তাদের দাবি গুলো বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাথে সাংঘর্ষিক না হলে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্যই মেনে নেবে।’

No comments

Powered by Blogger.