‘ইবি প্রশাসন ঘুমিয়ে কেনো এসি রুমে, জবাব চাই

বিপ্লব খন্দকার, ইবি-
ইবি প্রশাসন ঘুমিয়ে এসি রুমের কেবিনে? জবাব চাই, আমার ভাই হসপিটালে ইবি প্রশাসন ঘুমিয়ে কেনো?, স্বপ্ন পূরণের জন্য এসেছি পঙ্গু হতে নয়, আর কত হাড় ভাঙলে প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে, ক্যাম্পাসে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো বন্ধ করো করতে হবে, ঘাতকের শাস্তি বন্ধ করো করতে হবে, যত গতি তত ক্ষতি, পরিবহনের তালবাহানা মানি না মানব না” সহ বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বেপরোয়া যান চলাচল বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। একই দাবিতে বেলা ১১ টায় বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে এসে মিলিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে ৪ দফা দাবি জানায়। দাবি গুলোর মধ্যে- মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তিন শিক্ষার্থীর ক্ষতিপূরণ প্রশাসনকে বহন করতে হবে, ক্যাম্পাসে সকল যানবাহনের বেপরোয়া গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে রাস্তার পাশে সাইন বোর্ডের মাধ্যমে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ২০ কি: মি:/ঘণ্টা করতে হবে। পরবর্তীতে এ চার দফা সম্বলিত স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী বরাবর প্রদান করেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সাথে আমি নিজেই একাতœতা প্রকাশ করছি। তাদের দেওয়া স্মারকলিপি ও ঘটনার বিষয়টি আমি ভিসিকে অবহিত করেছি। আহতদের ক্ষতিপূরণসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলোর সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত রোববার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর এলাকায় এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরাফাতুল আলম, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য এবং রাকিবুল ইসলাম রকি আহত হন। এতে আরফাতুল আলমের পা ভেঙে যায়। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

No comments

Powered by Blogger.