ইবিতে একদল ভ্রমণ পিপাসু
বিপ্লব খন্দকার, ইবি প্রতিনিধি:-
বছর জুড়ে থাকে ক্লাস, পরিক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশন। এসবের মধ্যে ব্যাস্ত থাকতে থাকতে মাঝে মাঝে নিজেকে জড়বস্তুর মত মনে হয়। শহরের কোলাহল আর ইট পাথরের নগরীর ক্লান্তি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে প্রাচীন ঐতিহ্যের টানে ছুটে চলে যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবি সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের কিছু শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক স্থান পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, মহাস্থানগড় ও বেহুলার বাসর ঘর। এসকল ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের টানে নিঝুম রাতে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে পাড়ি দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ১১ মার্চ। বাসের সিট ধরা নিয়ে শুরু হলো ট্যুরিস্টদের মাঝে প্রতিযোগিতা কে কোথায় বসবে!। ট্যুর কমিটির দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিদের পূর্ব ঘোষিত নির্দেশ অনুযায়ী বাসের প্রথম চার সারি সিট রাখতে হয়েছে শিক্ষক ও মেয়েদের জন্য। মেয়েদেরকে অবাসিক হল থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে শুরু হলো রাত্র ১১.৫৫ মিনিটে যাত্র। কুষ্টিয়া শহর থেকে প্রতি মধ্যে যোগ দিলো বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন ও প্রফেসর ড. কামরুল হাসান। বিরামহীন ভাবে চলতে থাকলো বাসটি নওগাঁর উদ্দ্যেশে। প্রতিমধ্যে সুমধূর কোকিলের কন্ঠে মোয়াজ্জিনের আযানে ধ্বনিতে ১২ই মার্চ বৃহস্পতিবার ঘুম ভাঙ্গলো ট্যুরিস্টদের। গাড়িটি রাস্তার পার্শে মাসজিদের সামনে অবস্থান করতেই দেখা যায় কেউবা নামাজের জন্য ওজু করছে ইমামের সাথে শেষ রাকাতে অংশগ্রহণ করার জন্য, কেউবা ওয়াশরুমের যাওয়ার জন্য লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে, অন্যদিকে নিজেকে হাস্যউজ্জ্বল করতে মেয়েদের মাঝে কেউবা মুখে ফেইচওয়াশ করা নিেেয় ব্যাস্ত আবার কেউবা মেকআপ দিয়ে নিজেরে মুখ টাকে আলতো করে সাজাচ্ছে। নামাজ শেষ হতেই গ্রামের কিছু মানুষকে দেখা যায় মেহমান দারি করার জন্য পায়েশ রান্না করে এনে প্লেটে করে খাওয়াচ্ছেন ভ্রমণ পিপাসুদের।
ট্যুরে দায়িত্বে থাকা প্রধান তিন জনের মধ্যে বিপ্লব খন্দকার , সাইফুল্লাহ সাহাব উদ্দিন ও মাহমুদ ফয়সালের পরিচালনায় চলতে থাকে সকল কার্যক্রম। রাস্তার পাশের হাজারো গাছপালা, নদী-নালা অতিক্রম করে ছুটে চলছে উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের মোহে। গাড়ির ভিতরে সাউন্ড বক্সে বাজতে থাকা আধুনিক গানের সাথে তাল মিলিয়ে ড্যান্সে মেতে উঠে ‘ইন্টারটেইনমেন্ট ট্রিপের’ পিপাসুরা। এভাবে চলতে থাকা বাসটি সকাল ৮ টায় গিয়ে পৌঁছে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে। গাড়ি থেকে নেমেই শুরু হলো সকালের নাস্তা ভোনা খিঁচুড়ি সাথে ডিম ও বেগুন ভাজি। নাস্তা শেষে প্রাচীন স্থাপত্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার দেখার উদ্দ্যেশে জন প্রতি ২০ টাকা করে টিকিট ক্রয় করে প্রবেশ করা হলো ভিতরে। ভিতরে প্রবেশ করতেই মন কেড়ে নিলো বৌদ্ধ বিহারের স্থাপত্য শিল্প । এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্ম শিক্ষাদান কেন্দ্র ছিল। এছাড়াও চীন, তিব্বত, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এটি নির্মান করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন। বিহারটি পরিদর্শন শেষে রওয়ানা হলো বগুড়ার মহাস্থানগড়ের উদ্দ্যেশে। পূর্বের ন্যায় এখানেও প্রতিটা স্থানে জন প্রতি ২০ টাকা করে টিকিরে মূল্য রাখা হচ্ছে । মহাস্থানগড় দেখা শেষ এক কিলো মিটার গাড়ি যোগে ও কিলো মিটার পায়ে হেটে গিয়ে প্রবেশ করতে হলো বেহুলার বাসরঘরে। এটি ১২০০ শতাব্দির মধ্যে নির্মিত হয়। ইস্টক নির্মিত এ স্থাপত্যটি পূর্ব পশ্চিমে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ এবং ত্রিকোনবিশিষ্ট ১৭২ টি কক্ষ রয়েছে। বেহুলার বাসরঘরটি বর্তমান গবেষকদের মতে ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খৃস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৈদ্যমঠ। বাসরঘরটি পরিদর্শন সম্পন্ন করে বগুড়ার ঐতিহাসিক হোটেল সোনার বাংলায় মধ্যভোজের আয়োজন করা হয়। খোদার্থ পেটে গরুর মাংস, গরম ভাত-ডাল আর সবজিতে মেতে ওঠে খাবারে টেবিল আর ভরে যায় পেট। মধ্যভোজের পর গাড়ির ভিরতে বগুড়ার বিখ্যাত দইয়ের কাপে মেতে ওঠে ভ্রমণ পিপাসুদের মন। তৃপ্তি পেলো হৃদয় পূর্ণতা হলো খাবারের সব আয়োজন। পরবর্তীতে নাটোরের উত্তরা গণভবনের প্রধান ফটকে সামনে দাড়িয়ে গ্রুপিং ফটো তুলে নিজেদেরকে বন্দি করে রাখা হলো ফ্রেমে। ফটোসেশন শেষে গাাড়িতে উঠে গানের তালে নিজেকি মাতিয়ে ঝড়ের বেগে এসে পৌছালো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ১৭৫ একরে। ট্যুরিস্টদের হৃদয় থেকে বিদায় নিলো শহরের ক্লান্তি আর কোলাহোল, স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো এক নতুন সূর্য দিগন্তের।
বছর জুড়ে থাকে ক্লাস, পরিক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশন। এসবের মধ্যে ব্যাস্ত থাকতে থাকতে মাঝে মাঝে নিজেকে জড়বস্তুর মত মনে হয়। শহরের কোলাহল আর ইট পাথরের নগরীর ক্লান্তি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে প্রাচীন ঐতিহ্যের টানে ছুটে চলে যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবি সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের কিছু শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক স্থান পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, মহাস্থানগড় ও বেহুলার বাসর ঘর। এসকল ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের টানে নিঝুম রাতে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে পাড়ি দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ১১ মার্চ। বাসের সিট ধরা নিয়ে শুরু হলো ট্যুরিস্টদের মাঝে প্রতিযোগিতা কে কোথায় বসবে!। ট্যুর কমিটির দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিদের পূর্ব ঘোষিত নির্দেশ অনুযায়ী বাসের প্রথম চার সারি সিট রাখতে হয়েছে শিক্ষক ও মেয়েদের জন্য। মেয়েদেরকে অবাসিক হল থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে শুরু হলো রাত্র ১১.৫৫ মিনিটে যাত্র। কুষ্টিয়া শহর থেকে প্রতি মধ্যে যোগ দিলো বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন ও প্রফেসর ড. কামরুল হাসান। বিরামহীন ভাবে চলতে থাকলো বাসটি নওগাঁর উদ্দ্যেশে। প্রতিমধ্যে সুমধূর কোকিলের কন্ঠে মোয়াজ্জিনের আযানে ধ্বনিতে ১২ই মার্চ বৃহস্পতিবার ঘুম ভাঙ্গলো ট্যুরিস্টদের। গাড়িটি রাস্তার পার্শে মাসজিদের সামনে অবস্থান করতেই দেখা যায় কেউবা নামাজের জন্য ওজু করছে ইমামের সাথে শেষ রাকাতে অংশগ্রহণ করার জন্য, কেউবা ওয়াশরুমের যাওয়ার জন্য লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে, অন্যদিকে নিজেকে হাস্যউজ্জ্বল করতে মেয়েদের মাঝে কেউবা মুখে ফেইচওয়াশ করা নিেেয় ব্যাস্ত আবার কেউবা মেকআপ দিয়ে নিজেরে মুখ টাকে আলতো করে সাজাচ্ছে। নামাজ শেষ হতেই গ্রামের কিছু মানুষকে দেখা যায় মেহমান দারি করার জন্য পায়েশ রান্না করে এনে প্লেটে করে খাওয়াচ্ছেন ভ্রমণ পিপাসুদের।
ট্যুরে দায়িত্বে থাকা প্রধান তিন জনের মধ্যে বিপ্লব খন্দকার , সাইফুল্লাহ সাহাব উদ্দিন ও মাহমুদ ফয়সালের পরিচালনায় চলতে থাকে সকল কার্যক্রম। রাস্তার পাশের হাজারো গাছপালা, নদী-নালা অতিক্রম করে ছুটে চলছে উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের মোহে। গাড়ির ভিতরে সাউন্ড বক্সে বাজতে থাকা আধুনিক গানের সাথে তাল মিলিয়ে ড্যান্সে মেতে উঠে ‘ইন্টারটেইনমেন্ট ট্রিপের’ পিপাসুরা। এভাবে চলতে থাকা বাসটি সকাল ৮ টায় গিয়ে পৌঁছে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে। গাড়ি থেকে নেমেই শুরু হলো সকালের নাস্তা ভোনা খিঁচুড়ি সাথে ডিম ও বেগুন ভাজি। নাস্তা শেষে প্রাচীন স্থাপত্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার দেখার উদ্দ্যেশে জন প্রতি ২০ টাকা করে টিকিট ক্রয় করে প্রবেশ করা হলো ভিতরে। ভিতরে প্রবেশ করতেই মন কেড়ে নিলো বৌদ্ধ বিহারের স্থাপত্য শিল্প । এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্ম শিক্ষাদান কেন্দ্র ছিল। এছাড়াও চীন, তিব্বত, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এটি নির্মান করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন। বিহারটি পরিদর্শন শেষে রওয়ানা হলো বগুড়ার মহাস্থানগড়ের উদ্দ্যেশে। পূর্বের ন্যায় এখানেও প্রতিটা স্থানে জন প্রতি ২০ টাকা করে টিকিরে মূল্য রাখা হচ্ছে । মহাস্থানগড় দেখা শেষ এক কিলো মিটার গাড়ি যোগে ও কিলো মিটার পায়ে হেটে গিয়ে প্রবেশ করতে হলো বেহুলার বাসরঘরে। এটি ১২০০ শতাব্দির মধ্যে নির্মিত হয়। ইস্টক নির্মিত এ স্থাপত্যটি পূর্ব পশ্চিমে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ এবং ত্রিকোনবিশিষ্ট ১৭২ টি কক্ষ রয়েছে। বেহুলার বাসরঘরটি বর্তমান গবেষকদের মতে ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খৃস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৈদ্যমঠ। বাসরঘরটি পরিদর্শন সম্পন্ন করে বগুড়ার ঐতিহাসিক হোটেল সোনার বাংলায় মধ্যভোজের আয়োজন করা হয়। খোদার্থ পেটে গরুর মাংস, গরম ভাত-ডাল আর সবজিতে মেতে ওঠে খাবারে টেবিল আর ভরে যায় পেট। মধ্যভোজের পর গাড়ির ভিরতে বগুড়ার বিখ্যাত দইয়ের কাপে মেতে ওঠে ভ্রমণ পিপাসুদের মন। তৃপ্তি পেলো হৃদয় পূর্ণতা হলো খাবারের সব আয়োজন। পরবর্তীতে নাটোরের উত্তরা গণভবনের প্রধান ফটকে সামনে দাড়িয়ে গ্রুপিং ফটো তুলে নিজেদেরকে বন্দি করে রাখা হলো ফ্রেমে। ফটোসেশন শেষে গাাড়িতে উঠে গানের তালে নিজেকি মাতিয়ে ঝড়ের বেগে এসে পৌছালো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ১৭৫ একরে। ট্যুরিস্টদের হৃদয় থেকে বিদায় নিলো শহরের ক্লান্তি আর কোলাহোল, স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো এক নতুন সূর্য দিগন্তের।
No comments