ইবির ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের অবস্থান কর্মসূচি

বিপ্লব খন্দকার, ইবি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছে পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা। শনিবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে একই দাবিতে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি দলীয় টেন্ট থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে এসে মিলিত হয়। এসময় শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের জুবায়ের, বিপুল খান, শাহজালাল সোহাগ, শাহাদাত হোসেন নিশান, আল আমিন জোয়াদ্দার, আবির, রাব্বিসহ প্রায় দুইশতাধিক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নেতা-কর্মীদের হাতে ‘৪০ লাখের কমিটি; মানি না মানবো না, অদক্ষ নেতৃত্ব; মানি না মানবো না, অনৈতিক কমিটির বিলুপ্তি চাই, রাকিব-পলাশ কালসাপ; ছাত্রলীগের অভিশাপ, পলাশ-রাকিবের বহিস্কার ও শাস্তি চাই’ সহ বিভিন্ন শ্লোগান লিখিত প্লাকার্ড দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৪ জুলাই রবিউল ইসলাম পলাশকে সভাপতি এবং রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি ঘোষণার দুই মাস পরে ১২ সেপ্টেম্বর রাকিবের ৪০ লাখে নেতা হয়ে আসার অডিও ফাঁস হয়। ঘটনার পর পদবঞ্চিত নেতারা পলাশ-রাকিবকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। পরে পলাশ ও রাকিব তাদের কর্মীদের নিয়ে কয়েকবার ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলেও পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের ধাওয়ায় ব্যর্থ হন। সর্বশেষ ২১ জানুয়ারি পলাশ ও রাকিব তাদের কর্মী ও বহিরাগত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্ঠা করে। এসময় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে তাদের। এসময় সম্পাদক রাকিবসহ প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।

No comments

Powered by Blogger.