করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা

   এম. এ.কাদের-

চলতি শীত মৌসুমে ঠাণ্ডাজনিত রোগের কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ার যথেষ্ট আশংকা রয়েছে। ইতোমধ্যে ইউরোপে নতুন করে প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে বিশ্বব্যাপী একদিনে রেকর্ড সংখ্যক নতুন করোনা রোগী বেড়েছে। মহাদেশটিতে গত কয়েকদিনে গড়ে প্রতিদিন ২ লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখন বিশ্বজুড়ে প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ২৭ জনই ইউরোপীয় দেশগুলোর বাসিন্দা। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ইউরোপে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৮১ লাখের বেশী রোগী শনাক্ত হয়েছে। সে তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটাই ভালো। বাংলাদেশে ৪ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯১ জন, আর মারা গেছে ৬ হাজার ৭৭২ জন। চলতি শীত মৌসুমে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে- জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এমন আশঙ্কার পর তা মোকাবিলায় গত সেপ্টেম্বরে এর রোডম্যাপও তৈরি  করা হয়েছে। প্রস্ততি নাজুক হলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ সামলানো কঠিন হবে। এতে সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে, যদিও সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ প্রস্ততি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন। দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দেশে করোনা ভাইরাস ৮মার্চ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গত ৭ মাসে কোনদিনই এ মৃত্যুর মিছিল থেমে থাকে নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতির বেশি অবনতি হলে গরীব দেশ হিসাবে সামাল দিতে পারা আমাদের জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। কাজেই সংক্রমন যাতে না বাড়ে, সেদিকে আমাদের মনোযোগী হওয়া দরকার। করোনা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা দূর্বল ছিল। 

গত জুন-জুলাই মাসে করোনার প্রকোপ দেখা দিলে অনেক সাধারণ রোগী হার্টএ্যাটাক, ষ্ট্রোক, কিডনী, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন দূর্ঘটনায় আহত হয়ে করোনা সন্দেহের কারনে জরুরী চিকিৎসা না পেয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল ছোটাছুটি করে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এসমস্ত অবহেলার কারনে, এসব জরুরী রোগী ও অভিভাবকরা হাসপাতালে যেতে অনীহা প্রকাশ করায়, বিনা চিকিৎসায় অনেকে বাড়িতেই  মৃত্যুবরন করেছে। 

সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা, ইতোমধ্যে মন্ত্রীসহ উর্দ্ধতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন শিল্পপতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এস. আলম গ্রুপের পরিচালক, ৫টি ব্যাংক সহ ৩৫ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক মোরশেদুল আলম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১টি ভেন্টিলেটরের অভাবে পরিবারের সকলের সামনে করুন মৃত্যুবরন করেন। দেশে এস.আলম গ্রুপের মত অনেক শিল্পপতি, আমলা, জনপ্রতিনিধি আছেন, যারা সাধারন জ্বর-কাশিতেও চিকিৎসা ও চেকআপের জন্য বিদেশে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে আসেন। 

দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়ার জন্য  সবচযে়ে গুরুত্ব বহন করে শক্ষিা ও চকিৎিসা। র্স্পশকাতর এ দুটি বষিয়কে কোনো ভাবইে অবহলো করার সুযোগ নাই, কন্তিু র্দুনীতি অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এই দুটি বষিয়ে আমরা অনকে পছিযি়ে আছ।ি ২০১৯-২০ অর্থবছরে চিকিৎসা খাতে ২৫ হাজার ৭শত ৩২ কোটি টাকা বাজেট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা ব্যবস্থার তেমন উন্নতি না হবার কারনে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। আমাদরে দশেে চকিৎিসা ব্যবস্থার উপর আস্থার অভাব শুধু সাধারন রোগীদরেই নয়, র্ঊধ্বতন র্কমর্কতা, সরকারি আমলা ছাড়াও এমপ-িমন্ত্রীদরেও। আর এ অনাস্থার কারণইে তাঁরা প্রায় বদিশেে চকিৎিসার  জন্য গিয়ে থাকনে। চকিৎিসা  ব্যবস্থার উপর আস্থা না থাকার কারন, প্রয়োজনীয় দক্ষ বশিষেজ্ঞ চকিৎিসক তরৈি না হওয়া, বশিষেজ্ঞ চকিৎিসকরে স্বল্পতা, মধোবী চকিৎিসকদরে সঠকিভাবে মূল্যায়ন না করা, কম মধোবী শক্ষর্িাথীদরে চকিৎিসক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। এছাড়াও বশিষেজ্ঞ চকিৎিসকের কাছে জরুরী রোগী দেখানোর ক্ষেত্রে অধিক সিরিয়াল, বেশির ভাগ নির্ভুল রোগ নির্নয়ের ক্ষেত্রে এক ডায়গনষ্টিক সেন্টারের সাথে অন্য ডায়গনষ্টিক সেন্টারের রিপোর্টে মিল না থাকা, অভিজ্ঞ টকেনশিযি়ান এর অভাব, প্রয়োজনীয় ডাক্তাররে স্বল্পতা, ডাক্তারদরে বাসা, চম্বোর ও  নরিাপত্তার অভাব রয়েছে। 

দশেে প্রতি বছর ৩৬ টি সরকারি মডেকিলে কলজে থকেে ৪ হাজার ৬৮ জন ও প্রাইভটে মডেকিলে কলজে থকেে ৬ হাজার ২৩৩ জন র্অথাৎ কমবশেি ১০ হাজার ২৯৯জন ডাক্তার বরেযি়ে থাকনে, অথচ হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারের সংকট প্রায় লেগেই থাকে। এতে করে প্রতি উপজলোয়  ৩/৪ লক্ষ মানুষরে চকিৎিসা ব্যবস্থা  ডাক্তাররে স্বল্পতায় ঠিকমত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।  

দশেে চকিৎিসকরে অনকে অভাব রয়ছে।ে উগউঈ এর ২০১৮ সালের তথ্যমতে, আমাদের দেশে মোট ডাক্তারের হিসাব আনুযায়ী ১৮৪৭ জন মানুষের জন্য ১ জন ডাক্তার নিয়োজিত আছে। তাছাড়া চকিৎিসকদরেকে সঠকিভাবে মূল্যায়ন না করার কারণে অনেক অভিজ্ঞ চকিৎিসক দশেরে বাইরে চলে যায়, ফলে দশেরে চকিৎিসা ব্যবস্থায় চকিৎিসকরে স্বল্পতা দনি দনি বডে়ইে চলছে।ে রোগ নর্ণিয়রে ক্ষত্রেে কিছু ডাক্তারদরে সাথে ডায়াগনস্টকি সন্টোর এর একটা বড় কমশিন বাণজ্যি রয়ছে।ে অনেক ডাক্তারের নির্ধারিত ডায়াগনস্টকি সন্টোর থেকে রিপোর্ট না করলে তাঁরা গ্রহন করতে চান না। এছাড়াও ভুল রোগ নর্ণিয়, ভুল অপারশেন ও ওষুধরে দাম অধকি হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীরা দশেরে চকিৎিসার উপর অনকেটা বমিুখ হচ্ছে । বর্তমান সরকাররে চকিৎিসা ব্যবস্থার উপর   সঠকি পরকিল্পনা ও নজরদাররি কারণে ইদানিং আমরা অনকে সুফলও  পাচ্ছি। আমাদরে দশেে এখন স্বল্প খরচে অনকে ভালো নর্ভিুল চকিৎিসা হচ্ছে এছাড়াও দশেে উন্নত চকিৎিসার জন্য অত্যাধুনকি আর্ন্তজাতকি মানরে নউিরোসাইন্স হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বজ্ঞিান ইনস্টটিউিট, জাতীয় র্হাট ফাউন্ডশেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ইন্সটিটিউটসহ বশে কয়কেটি  সরকারি এবং বসেরকারি উদ্যোগে হাসপাতাল তৈরী হওয়ায় আমরা তার সুফল ভোগ করছি। তাছাড়া ইতমিধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু মডেকিলে কলজেরে পাশইে আর্ন্তজাতকি  মানরে সুপার স্পশোলাইজড হাসপাতাল নর্মিাণরে কাজ শুরু করছেনে। এখানে র্সব প্রকার জটলি রোগরে অপারশেন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দশেরে মানুষরে জন্য চকিৎিসা ব্যবস্থা অধকি গুরুত্ব বহন করে এবং বষিয়টি অত্যন্ত র্স্পশকাতর হওয়ায় সরকারকে অবশ্যই দশেরে চকিৎিসা ব্যবস্থার ওপর জনগণরে আস্থা ফরিযি়ে আনার জন্য সঠকি পরকিল্পনার মাধ্যমে নরিপক্ষেতার সাথে র্দুনীতি দমন করে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে সবচেয়ে মেধাবীরাই চিকিৎসার মত মহৎ পেশায় সেবা দিয়ে থাকেন। এ কারনে তাদের অবহেলা করার কোন সুযোগ নাই। সমাজে তাদের সর্বোচ্চ মর্যাদা, বেতন সহ সর্ব প্রকার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যোগ্য ডাক্তারদরে সঠকিভাবে মূল্যায়ন হলে মধোবী ডাক্তারদরে বদিশেে যাওয়া বন্ধ হবে এবং দশেরে চকিৎিসা ব্যবস্থার অনকে উন্নয়ন ঘটবে এতে  দশেরে জনগণরে চকিৎিসার প্রতি আস্থা ফিরে আসলে  বদিশেে চকিৎিসার জন্য যাওয়া বন্ধ হবে  এতে বৈদেশিক মূদ্রার সাশ্রয় হবে। 

আধুনিক ও উন্নত চকিৎিসা ব্যবস্থা শুধু ঢাকা কন্দ্রেকি নয়, পুরাতন জলো শহর র্পযন্ত ছডি়য়ে দতিে হবে র্বতমানে দশেে হৃদরোগরে ঝুঁকি অনকে বডে়ে গছে। প্রচুর  মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সময়মতো সঠকি চকিৎিসা না পাওয়ার কারণে মারা যাচ্ছে অন্তত প্রত্যকে মডেকিলে কলজেে করোনারী কেয়ার  ইউনটি (স,ি স,ি ইউ) চালু থাকলে বশেীর ভাগ রোগী বাঁচানো সম্ভব হবে ডাক্তারদরে ডউিটরি ক্ষেত্রে সেবা মূলক মনোভাব ও আন্তরকিতা থাকতে হবে।  ডিউটির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ডাক্তারদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। উন্নত বশ্বিরে সাথে তাল মলিয়িে আধুনিক ও উন্নত চকিৎিসার জন্য হাসপাতাল, যন্ত্রপাতি ও  চকিৎিসকরে ব্যবস্থা করতে হবে এর জন্য চিকিৎসা খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে, ফলে দশে উন্নয়নের দকিে আরেক ধাপ এগযি়ে যাবে দশেে নর্ভিরযোগ্য চকিৎিসায় বশ্বিাস সৃষ্টি হলে আশপোশরে দশে থকেে রোগী এ দেশে চকিৎিসা নতিে আসবে এতে করে  দশেরে র্মযাদা বৃদ্ধি পাবে অনেক বেকার সমস্যা দুর হবে ও অধকি হারে  বদৈশেকি মুদ্রা র্অজন হবে সকল চকিৎিসা দশেইে হলে মানুষরে অনেক কষ্ট লাঘব হবে কম টাকায় চকিৎিসা পাবে ও দুঃসময়ে আপনজন কাছে থাকবে এতে সরকাররে প্রতি মানুষরে আস্থা আরও বড়েে যাবে এবং ভবিষ্যতে করোনা ভাইরাসের মত বিপর্যয় মোকাবিলা করা সহজ হবে। 

   লেখক-                                                                                                                                                                  সাংবাদিক ও কলামিষ্ট


No comments

Powered by Blogger.