ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়েই চলাচল হাজার হাজার ভারি যানবাহনের, উপরে ফাটল, নিচে পলেস্তারা খুলে পড়ছে,

চিত্রা নিউজ ডেস্ক-

উপরে ফাটল, আর নিচে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ধসে পড়ছে চাক চাক পলেস্তারা। মোটা রডগুলো মরিচা ধরে খসে পড়ছে। স্থানীয়দের আশংকা যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে ঝিনাইদহ-কোটচাঁদপুর ভায়া জিয়ানগর সড়কের ডেফলবাড়ি নামক স্থানের সেতুটি। বেগবতি নদীর উপর রয়েছে এই সেতু। 

স্থানীয়রা বলছেন অর্ধশত বছরের অধিক পূর্বে এই সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো মেরামত করা হয়নি। এতোদিন ভালোই চলে আসলেও সাম্প্রতি এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় এটি ধসে পড়ে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তারা বলছেন, ৫০ ফুট লম্বা সেতুটির উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। পাশ^বর্তী ৬ টি ইউনিয়নের ৭০ গ্রামের মানুষও এই সড়ক দিয়ে ঝিনাইদহ ও কোটচাঁদপুর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের জহির রায়হান জানান, ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে একটি সড়ক কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর উপজেলা হয়ে পাশ^বর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় মিশেছে। যেটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই সড়কের পশ্চিমে রয়েছে সদর উপজেলার পাগলাকানাই, গান্না, মধুহাটি, মহারাজপুর, কুমড়াবাড়িয়া ও কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়ন। এই ছয়টি ইউনিয়ন সংযোগ রেখে চলে গেছে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই হতে কোটচাঁদপুর শহর পর্যন্ত আরেকটি জেলা সড়ক। যার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এই সড়কের জিয়ানগর থেকে পশ্চিমে আরেকটি সড়ক গিয়ে সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে মিশেছে। পূর্বে চলে গেছে কালীগঞ্জ শহর। এটি কালীগঞ্জ-ডাকবাংলা ভায়া জিয়ানগর সড়ক হিসেবে পরিচিত। এটির দূরত্ব ২১ কিলোমিটার। এই সড়কগুলোর পাশ^বর্তী এলাকায় কমপক্ষে ৭০ টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামগুলোতে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করেন। এই মানুষগুলো ঝিনাইদহ আর কোটচাঁদপুর হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। এছাড়া সড়কটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। তালসার, জিয়ানগর, চন্ডিপুর, শৈলমারি, সমাজকল্যান, ফুলবাড়ি, কুশনা, বাজারগোপালপুর, বেলেখাল সহ বেশ কয়েকটি ছোট বড় বাজার রয়েছে। উল্লেখিত ৬ টি ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের জমিতে উৎপাদিত পন্য এই সকল বাজারে বিক্রি করে। যা ওই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়। জহির রায়হানের ভাষায় এটি ব্যস্ততম সড়ক। 

তিনি আরো জানান, এই সড়কের ঝিনাইদহের ডেফলবাড়িয়া নামক স্থানে বেগবতি দনীর উপর একটি সেতু রয়েছে। সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল অব্যহত থাকলেও এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, সেতুটির উপরে বেশ কয়েকটি ফাটল দেখা দিয়েছে। আর নিচে গেলে ভংঙ্কর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সেখানে পলেস্তারা খুলে খুলে পড়ছে। ফাটলগুলোও বেশ বড় দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে ঢালাই খুলে খুলে পড়ছে। সেতুতে ব্যবহার করা রডগুলো মরিচা পড়ে খসে খসে পড়ছে। এই অবস্থায় সেতুটির উপর দিয়ে বড় বড় ট্রাক মালামাল বোঝায় করে চলাচল করছে। ফলে যে কোনো সময় ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। 

৫৮ বছর বয়সের গোলাম মোস্তফার ভাষায় শিশু বয়স থেকেই তিনি বেগবতি নদীর উপর থাকা এই সেতুটি দেখছেন। সেতুটি দেখে পুরাতনই মনে হয়। অর্থাৎ তার বয়সের পূর্বেই কোনো এক সময় সেতুটি নির্মান কার হয়েছে। এখন সেতুটির যে অবস্থা তাতে দ্রুত মেরামত না করলে দূর্ঘটনার কবলে পড়বে যানবাহন। প্রাণহানীর আশংকাও রয়ে গেছে। স্থানীয় ডেফলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আক্কাচ আলী জানান, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবার বিষয়টি তারা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে অবহিত করেছেন। কিন্তু এখনও এটি নতুন করে নির্মানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে দূর্ঘটনার আশংকা করছেন তারা।

এ বিষয়ে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান, সেতুটির বিষয়ে দ্রুত খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্তা গ্রহন করবেন। ঝুঁকিপূর্ণ হলে এটি নতুন করে নির্মান করা হবে বলে জানান।





উপরে ফাটল, নিচে পলেস্তারা খুলে পড়ছে, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়েই চলাচল হাজার হাজার ভারি যানবাহনের

উপরে ফাটল, আর নিচে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ধসে পড়ছে চাক চাক পলেস্তারা। মোটা রডগুলো মরিচা ধরে খসে পড়ছে। স্থানীয়দের আশংকা যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে ঝিনাইদহ-কোটচাঁদপুর ভায়া জিয়ানগর সড়কের ডেফলবাড়ি নামক স্থানের সেতুটি। বেগবতি নদীর উপর রয়েছে এই সেতু। 

স্থানীয়রা বলছেন অর্ধশত বছরের অধিক পূর্বে এই সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। এরপর আর কোনো মেরামত করা হয়নি। এতোদিন ভালোই চলে আসলেও সাম্প্রতি এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় এটি ধসে পড়ে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তারা বলছেন, ৫০ ফুট লম্বা সেতুটির উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। পাশ^বর্তী ৬ টি ইউনিয়নের ৭০ গ্রামের মানুষও এই সড়ক দিয়ে ঝিনাইদহ ও কোটচাঁদপুর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের জহির রায়হান জানান, ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে একটি সড়ক কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর উপজেলা হয়ে পাশ^বর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় মিশেছে। যেটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই সড়কের পশ্চিমে রয়েছে সদর উপজেলার পাগলাকানাই, গান্না, মধুহাটি, মহারাজপুর, কুমড়াবাড়িয়া ও কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়ন। এই ছয়টি ইউনিয়ন সংযোগ রেখে চলে গেছে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই হতে কোটচাঁদপুর শহর পর্যন্ত আরেকটি জেলা সড়ক। যার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এই সড়কের জিয়ানগর থেকে পশ্চিমে আরেকটি সড়ক গিয়ে সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে মিশেছে। পূর্বে চলে গেছে কালীগঞ্জ শহর। এটি কালীগঞ্জ-ডাকবাংলা ভায়া জিয়ানগর সড়ক হিসেবে পরিচিত। এটির দূরত্ব ২১ কিলোমিটার। এই সড়কগুলোর পাশ^বর্তী এলাকায় কমপক্ষে ৭০ টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামগুলোতে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করেন। এই মানুষগুলো ঝিনাইদহ আর কোটচাঁদপুর হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। এছাড়া সড়কটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। তালসার, জিয়ানগর, চন্ডিপুর, শৈলমারি, সমাজকল্যান, ফুলবাড়ি, কুশনা, বাজারগোপালপুর, বেলেখাল সহ বেশ কয়েকটি ছোট বড় বাজার রয়েছে। উল্লেখিত ৬ টি ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের জমিতে উৎপাদিত পন্য এই সকল বাজারে বিক্রি করে। যা ওই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়। জহির রায়হানের ভাষায় এটি ব্যস্ততম সড়ক। 

তিনি আরো জানান, এই সড়কের ঝিনাইদহের ডেফলবাড়িয়া নামক স্থানে বেগবতি দনীর উপর একটি সেতু রয়েছে। সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল অব্যহত থাকলেও এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, সেতুটির উপরে বেশ কয়েকটি ফাটল দেখা দিয়েছে। আর নিচে গেলে ভংঙ্কর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সেখানে পলেস্তারা খুলে খুলে পড়ছে। ফাটলগুলোও বেশ বড় দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে ঢালাই খুলে খুলে পড়ছে। সেতুতে ব্যবহার করা রডগুলো মরিচা পড়ে খসে খসে পড়ছে। এই অবস্থায় সেতুটির উপর দিয়ে বড় বড় ট্রাক মালামাল বোঝায় করে চলাচল করছে। ফলে যে কোনো সময় ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। 

৫৮ বছর বয়সের গোলাম মোস্তফার ভাষায় শিশু বয়স থেকেই তিনি বেগবতি নদীর উপর থাকা এই সেতুটি দেখছেন। সেতুটি দেখে পুরাতনই মনে হয়। অর্থাৎ তার বয়সের পূর্বেই কোনো এক সময় সেতুটি নির্মান কার হয়েছে। এখন সেতুটির যে অবস্থা তাতে দ্রুত মেরামত না করলে দূর্ঘটনার কবলে পড়বে যানবাহন। প্রাণহানীর আশংকাও রয়ে গেছে। স্থানীয় ডেফলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আক্কাচ আলী জানান, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবার বিষয়টি তারা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে অবহিত করেছেন। কিন্তু এখনও এটি নতুন করে নির্মানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে দূর্ঘটনার আশংকা করছেন তারা।

এ বিষয়ে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান, সেতুটির বিষয়ে দ্রুত খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্তা গ্রহন করবেন। ঝুঁকিপূর্ণ হলে এটি নতুন করে নির্মান করা হবে বলে জানান।


















No comments

Powered by Blogger.