সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে চব্বিশ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটে সংবাদ সম্মেলন

সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ থেকে- 

সেনা বাহিনীতে চাকরী দেয়ার নামে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া চব্বিশ লক্ষ টাকা ফেরৎ পাওয়া,প্রতারক,ঠকবাজ রানা এবং টিটু কে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে সংবাদ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ মাঝপাড়া গ্রামের মামুন হাসান,ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার উত্তর নারায়নপুর গ্রামের জমির আলীর পুত্র আরিফুল এবং সাইদুর রহমানের পুত্র সোহাগ হোসেন। শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে ভুক্তভোগী ও প্রতারণার শিকার ওই তিন বেকার চাকরী প্রার্থী তাদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয় চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে আমাদেরকে সর্বশান্ত করে পথের ফকির বানিয়েছে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার নেহাল পুর গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র ইবনে ফয়সাল রানা (৪০), এবং একই উপজেলার কাজোড়া গ্রামের মজিদ মাষ্টারের ছেলে নাজমুল হক টিটু (৪১)। তারা সেনা বাহিনীর স্টেশন হেড কোয়ার্টার সিভিল ‘মেস ওয়েটার’ এবং মালী পদে ভূয়া নিয়োগ পত্র দেখিয়ে চব্বিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আমাদের এস এস সি পাশের মূল সনদ জমা নিয়েও তা ফেরৎ  দেয়নি, এমনকি বিভিন্নভাবে জীবন নাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা অসহায়, বিচারের আশায় পথে পথে ঘুরছি। আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে দাবী জানাই, আর কোন বেকার যুবক যেন প্রতারণার শিকার না হয়, আমারা যেন টাকা ফেরৎ পাই সেই ব্যবস্থা তিনি করবেন। 

এদিকে প্রতারিত পরিবারের সদস্যরা যখন ঋণগ্রস্ত,ভিটে মাটি হারা তখন তারা সমাজের মানুষের কাছে প্রতিনিয়ত অপমানের শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। বলা হয় এই প্রতারক,জালিয়াত চক্রটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাল বিস্তার করে অসংখ্য বেকার যুবককে পথে বসিয়েছে,তাদের স্বপ্ন ভেঙে খান খান করে দিয়েছে। তাদের চোখের জলে বালিশ ভেজে,তাদের বাবা-মা,স্ত্রী,সন্তান,দুমুঠো খাবারের আশায় আজ পথ চেয়ে বসে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, প্রতারিত হয়ে বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার না পেয়ে আদালতের কাছে বিচার চেয়েছি যার ফলাফল পাওয়া সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। 

এ ব্যাপারে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে যার একটি আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,আমলী আদালত,কোটচাঁদপুর,ঝিনাইদহ এর নং কোর্ট পিটিশন-০৫/২০২২। অন্যটি- মামুন হাসান বাদী হয়ে মোঃ সাইদুল ইসলাম,জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট,আমলী আদালত,জীবন নগর চুয়াডাঙ্গা-নং-২৪/২২,তারিখ-১৮/০১/২০২২ ইং। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগও দেয়া আছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মামুন হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন সহ অন্যান্যরা।

No comments

Powered by Blogger.