ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পথচারীদের কুকুরে কামড়
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন সড়ক থেকে ২৮ জন পথচারীকে কুকুরে কামড় দিয়েছে। আক্রান্তরা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও নতুন নতুন রোগি আসছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন ভ্যাকসিন সংকট রয়েছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তাদের ১৪ টি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে দিয়েছে। যা দিয়ে ১৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা নিজেদের মতো করে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করছেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে, সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রথম কুকুরের কামড় দেওয়া রোগি হাসপাতালে আসেন। এরপর থেকে একে একে আসতেই আছে। রাত ৯ টার সময়ও ২ জন রোগি এসেছেন। যারা সবাই শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। হাসপাতালের খাতায় দেখা গেছে, চাপালী গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক শাহরিয়ার আলম সোহাগ (৩২) কালীগঞ্জ পৌরসভা এলাকার ঈশ^রবা গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৪০), কলেজপাড়ার সজল (২৮), সিদ্দিকুর রহমান (৪৮), মাহবুবুর রহমান (৩৪), কাশিপুর গ্রামের মিন্টু (২৪), ইদ্রিস আলী (৫০), রোহান (২৬), জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), সাইফুল ইসলাম (৪২), জাহিদুল ইসলাম (৪৫), নদীপাড়ার শেথ আসিকুর রহমান (৩৬), ডাবলুর রহমান (৪২), কালুখালীর মশিয়ার রহমান (৫৫), আড়পাড়া এলাকার হাসেম আলী (১৯), বনানীপাড়ার মাহাবুব (২৮), শোয়াইবনগরের হাসান আলী (৩০), রিয়াজ (২১), মফিজুর রহমান (১৪), সাহাপাড়ার সামছুল ইসলাম (২৮), খড়াশুনী গ্রামের সোহাগ আলী (২৫) দাদপুরের সুফল দাস (৩২), পাঁচ-কাউনিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ (৬০), সানবান্ধা গ্রামের আব্দুল লতিফ (৫০), নওদাগা গ্রামের রিয়াদ (২০), তামিম (১৮), নরেন্দ্রপুর গ্রামের আজাদ রহমান (২৬) সহ ২৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। যারা সবাই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাফার গোডাউনের সামনে থেকে একটি কুকুর লাফ দিয়ে তার হাম হাতের বাহুতে কামড় দেয়। এ সময় কুকুর এমন ভাবে তাকে ধরেছিল তিনি ভীত হয়ে পড়েন। জাহিদুল ইসলাম নামের আরেক রোগি জানান, নতুন বাজার এলাকা থেকে তার কাঁধে কামড় দেয়। তিনি হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর আলম জানান, একসঙ্গে এতো মানুষকে কুকুরে কামড় দিয়েছে যে তারা চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন। তবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তাদের ১৪ টি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে দিয়েছেন, যা দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে ভ্যাকসিন নিজেরা সংগ্রহ করছেন।
পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম জানান, হঠাৎ করেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন ২/১ পাগলা কুকুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আর মানুষকে কামড় দিচ্ছে। তিনি খবর পেয়ে হাসপাতালে যান, ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেন। এছাড়া পৌরসভার কর্মীরা পাগলা কুকুর খুজে বেড়াচ্ছেন।
No comments