মধ্যরাতে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আটক ১
এম শাহজাহান আলী সাজু-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ফয়লা মাস্টারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী হাসান ফয়লা মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত সফর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় রাতেই আকরাম হোসেন নামের এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তার ভাই সাদ্দাম হোসেন পলাতক রহেছে। আটক আকরাম হোসেন একই এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। এঘটনায় নিহত মেহেদী হাসানের মা সাবিহা বেগম বাদী হয়ে সাদ্দামকে এক নম্বর আসামী করে ২ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৮।
পরিরারিক সুত্রে জানায়, রাত সাড়ে ১১টার সময় মেহেদী হাসানকে ফোনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান সাদ্দাম হোসেন। যাওয়ার পর পরই মেহেদী হাসানকে ছুরি দিয়ে গলা, হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। মারাত্বক আহত অবস্থায় মেহেদী দৌড়ে সাদ্দামের বাড়ির পাশে মোবারোক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহত মেহেদীর স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার স্বামী খাচ্ছিল। খাওয়া শেষের দিকে একটি ফোন থেকে কল আসে। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি জানতে পারেন প্রতিবেশী সাদ্দামের বাড়ির পাশে পড়ে আছে তার স্বামীর রক্ত্যক্ত দেহ। এরপর সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের একটি ৫ মাস বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়া নিহত মেহেদী আগামী ৩ দিন পর তার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শিশির কুমার জানান, ছুরিকাঘাতে জখম এক যুবককে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হাসপাতালে আনে স্থানীয়রা। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনায় মেহেদী হাসান নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত আকরাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।
No comments