সাংবাদিক আজাদ রহমানের সাফল্যে আমরা সবাই গর্বিত, সংবর্ধনা সভায় বক্তারা

স্টাফ রির্পোটার- প্রথম আলো’র প্রতিনিধি আজাদ রহমান আবারো সেরা প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া কালীগঞ্জ তথা ঝিনাইদহবাসী গবির্ত। তিনি তার লেখোনির মাধ্যমে মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। তার লেখায় অনেক মেধাবী গরিব ছেলে-মেয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছেন। যারা আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত রয়েছেন। সংবাদ লিখে সৃষ্টি করেছেন প্রথম আলো সড়ক। তার এই সব কাজের পুরষ্কার হিসেবে পেয়েছেন সেরা সাংবাদিকের পুরষ্কার। সোমবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। স্থানীয় সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তৃতা করেন শহীন নূর আলী কলেজের অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু, সমাজকর্মী শিবুপদ বিশ^াস, সলিমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেদৌরা আক্তার, সাংবাদিক জামির হোসেন, এনামুল হক সিদ্দিক, মোমিনুর রহমান মন্টু প্রমূখ। অনুষ্ঠানে অনুভুতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন প্রথম আলো পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান। সভাশেষে প্রথম আলো পত্রিকার সেরা প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় সাংবাদিক আজাদ রহমানের হাতে ফুলের তোড়া ও ক্রেষ্ট তুলে দেওয়া হয়। আজাদ রহমান শুধু ২০২৩ নয় ইতিপূর্বে ২০০৬ ও ২০১৮ সালে প্রথম আলো পত্রিকার সেরা প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী গ্রামের মরহুম নূর আলী মন্ডলের বড় ছেলে আজাদ রহমান। ইফতেখারুল ইসলাম বিপুল নামে তার একটি ছোট ভাই রয়েছে। তার স্ত্রী মোসাঃ আক্তার জাহান শিল্পী কোটচাঁদপুর উপজেলার জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাদের একমাত্র কন্য ইসরাত জাহান গ্লোরী একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। আজাদ রহমানের মা মোছাঃ রোকেয়া বেগম বর্তমানে বার্ধক্যজনিত কারনে শয্যাশায়ী। আজাদ রহমান ১৯৮৯ সালের ১৩ মার্চ যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক রানার পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি ওই পত্রিকার কালীগঞ্জ প্রতিনিধি ছিলেন। এরপার ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার কালীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে পত্রিকাটির মফস্বল প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৯৫ সালে পত্রিকাটি তাকে জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব দেন। সেই থেকে তার জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকতা শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে যশোর থেকে লোকসমাজ পত্রিকা প্রকাশের পর তিনি সেটার জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব নেন। ১৯৯৮ সালে তিনি লোকসমাজ পত্রিকার সেরা প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে প্রথম আলো প্রকাশিত হলে তিনি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে তাকে স্টাফ রির্পোটারের মর্যাদা দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.