ঝিনাইদহে ধারের টাকা না দিতে ভাড়াটিয়াকে চাঁদাবাজ সাজাচ্ছে ভবন মালিক
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ধারের টাকা পরিশোধ না করতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করছে ঝিনাইদহ শহরের রাবেয়া ক্লিনিকের ভবন মালিক শরীফ । রাবেয়া ক্লিনিকের মালিক সোহলে রানা পাওনা টাকা চাইতে গেলে ভবন মালিক শরীফ তাকে চাদাঁবাজ বলে অপবাদ দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোহেল রানাকে চাঁদাবাজ বলে প্রচার করে মানহানি করার চেষ্টা করছে তিনি।
রাবেয়া ক্লিনিকের মালিক সোহলে রানা জানান, ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে ২০০৬ সালে রাবেয়া ক্লিনিক প্রতিষ্টা করেন সোহেল রানা। সেসময় ২তলা বিশিষ্ট একটি ভবন ১৭ লাখ জামানত দিয়ে মাসিক ৯০হাজার টাকা ভাড়ায় মালিক শরীফের কাছ থেকে ১০ বছরের চুক্তিতে নেয়। এরপর থেকে তিনি সুনামের সাথে ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছে। ২০১৬ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় ১০ বছরের চুক্তিতে ১ লাখ ৬০হাজার টাকা ভাড়ায় আবারও চুক্তিনামা করা হয়। এরপর ভবন মালিক শরীফ বিভিন্ন সময় সোহেলের কাছে বিপদ আপদের কথা বলে ১১ লাখ টাকা ধার নেয়। সোহলে বিভিন্ন সময় ভবন মালিকের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তালবাহানা শুরু করে। এরপর গত ২৯ জুন শরীফের বাসায় টাকা চাইতে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাস করে। তখন সোহেল কোন প্রতি উত্তর না দিয়ে ফিরে আসে। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরীফ ক্লিনিক মালিককে চাঁদাবাজ বলে অপপ্রচার চালিয়ে তার মানহানি করার চেষ্টা করছে।
ভবন মালিক শরীফ বলেন, আমি সোহেলকে ভবন ভাড়া দিয়েছি। কিন্তু মাসিক ভাড়া নিয়ে তার সাথে আমার প্রায়ই কথাকাটা-কাটি হয়। গত ২৯ তারিখ সে আমার বাসার গেটে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। সে আমার কাছে কোন টাকা পায় না বরং আমিই তার কাছে ভাড়া পাবো বলে জানান।
মোবাইল ফোনে চাঁদাদাবির কথা জানতে চাইলে ভবন মালিক শরীফ পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় ক্লিনিক মালিক সোহলে রানা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আর ভবন মালিক শরীফ মৌখিক জানিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
No comments