ঝিনাইদহ শহরের অগ্রণী ব্যাংকে প্রতারকদের দৌরাত্ব বেড়েই চলেছে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ শহরের অগ্রণী ব্যাংকে দিন দিন প্রতারকদের দৌরাত্ব বেড়েই চলেছে। এতে গ্রাহকরা চরম প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের আহাম্মদ উল্লাহর স্ত্রী পায়রা বেগম অগ্রণী ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে আসেন। ব্যাংকের মধ্যে পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতারক চক্রের এক সদস্য তাকে সাহায্যের কথা বলে তার কাছ থেকে জমা বই ও টাকা নেয়। পায়রা বেগম লেখাপড়া না জানায় সরল ভেবে ওই প্রতারককে জমা বই ও ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে প্রতারক ৫০ হাজার টাকার স্থলে ৩৪ হাজার টাকা পায়রা বেগমের হাতে দিয়ে বাকি ১৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পায়রা বেগম টাকা জমা দিতে গেলে ক্যাশ কাউন্টারের কর্মকর্তা ১৬ হাজার টাকা কম আছে বলে জানায়। বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে পায়রা বেগম ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন যা তদন্তাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগী পায়রা বেগম বলেন, যে ব্যাক্তি জমা বই লিখে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাকে প্রায়ই ওই ব্যাংকের মধ্যে দেখা যেত।
এ ব্যাপারে অগ্রণী ব্যাংক ওই শাখার ম্যানেজার তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রতারককে ধরতে এ শাখা থেকে পুলিশকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে। ওই দিনের সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে এ ধরনের কর্মকান্ড যাতে না ঘটে তার জন্য গ্রাহকসহ সকলকে সচেতন করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.